Pradyot kishore manikya
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ আমরণ অনশনে বসতে চলেছে (ছবি- ফেসবুক)

ভোট ঘনিয়ে আসতেই আরও একবার শুরু হয়েছে রাজনীতির খেলা।শাসককে চাপে ফেলতে এবার আমরণ অনশনের প্রস্তুতি।নিশ্চিত না হলেও আপাতত এই পথেই হাঁটতে যাচ্ছে তিপ্রা মথা। গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড ছেড়ে এবার আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে তিপ্রাসাদের সাংবিধানিক সমাধানের দাবিতে এই আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

সামাজিক মাধ্যমে এসে শনিবার তিপ্রা মথার প্রাক্তন প্রধান তথা টিটিএএডিসির উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ নিজেই একথা জানিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর নাও হতে পারে।দলীয় সূত্রে খবর, রবিবারই দলের সভাপতি বিজয় কুমার রাঙ্খল দলের কার্যকরী কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, বিধায়ক, এমডিসিদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসবেন।আর তাতেই চূড়ান্ত হবে আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্তটি।


সামাজিক মাধ্যমে এসে প্রদ্যোত বলেন, গরিব তিপ্রাসারা যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে এজন্যই তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে চাই।তিনি বলেন, রাজপ্রাসাদ ছেড়ে গরিব তিপ্রাসাদের জন্য আমি লড়াইয়ের ময়দানে থাকলেও যারা বছরভর প্রতিশ্রুতি কিংবা গ্যারান্টি দিয়ে বেড়ায় তারা কিছুই করে না তাদের জন্য। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও তিপ্রাসাদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরাসরি অর্থ প্রদান সহ নানা প্রতিশ্রুতি দেয়।

অথচ ভোট মিটে যেতেই সব ভুলে গিয়েছে প্রতিশ্রুতি প্রদানকারীরা।তিনি তাই ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার হাতইকাতরে ডাক দিলেন আমরণ অনশনের।ইতিমধ্যেই শনিবার তাই হাতইকাতর এলাকা পরিদর্শনে যান মথা নেতৃত্বরা। মথা প্রতিষ্ঠাতা বলেন, হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিল সমস্যা থাকায় শারীরিক দিকটাও ভালো নেই আমার।

এই অবস্থায় শরীর কিংবা পরিবারের দিকটাকেও ছেড়ে দিয়ে তিপ্রাসাদের জন্যই প্রাণপণ লড়াই থাকবে আমার।কেউ দেখে এগিয়ে এলে আমি তাকেও স্বাগত জানাবো।তিনি বলেন, ছোট রাজ্য বলে হেলায় উড়িয়ে দিলে চলবে না।তার কথায়, উত্তরপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর জনগণ আর এ রাজ্যের জনগণের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই।আমরা সবাই হিন্দুস্থানে আছি। আমার এই আন্দোলনের ফসল নিশ্চয়ই ভোগ করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।