একটি চিট ফান্ড মামলার তদন্তে সোমবার সকালে মুকুল রায়ের কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতে হাজির হলেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়িতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। সেই ছেলে শুভ্রাংশু বাড়িতে ছিলেন না। তবে তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি পরে বাড়িতে এসে সাংবাদিকদের জানান তদন্তকারী অফিসারদের তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হয়ে।
সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডির একটি টিম মুকুল রায়ের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে আসে। একটি চিট ফান্ড সংক্রান্ত মামলায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মুকুল রায়কে ডেকে পাঠায় ইডি। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ককে তলব করা হয়েছিল। তবে ইডি আধিকারিকদের প্রথম থেকেই শুভ্রাংশু জানান, তাঁর বাবা অসুস্থ।
তিনি দিল্লিতে যাওয়ার অবস্থাতেই নেই। তবে ইডি যদি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তবে তাঁর বাড়িতে আসতে পারে। এ বিষয়টি ইডির দফতরে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানান মুকুল রায়ের ছেলে। পর দুটি চিঠি দেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠির ভিত্তিতে ইডি বাড়িতে এসেই জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হয়।
এদিন শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি সহযোগিতা করব। আমরা চিঠি দেওয়ার পর ওরা বলে বাড়িতে আসবে। আজ এসেছিল। কথাবার্তা বলে গিয়েছে। ওরা আড়াই-তিন ঘণ্টা ছিল। কতজন এসেছিল আমি বলতে পারব না। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাইরে ছিলাম। শুনেছি ওরা খুশি।’
গত প্রায় দু বছর ধরে মুকুল রায়ের তেমন শরীর ভাল যাচ্ছে না। তিনি ইদানীং বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোন না। তিনি বাড়িতেই থাকেন। মাঝে মাঝে বাড়ির বারান্দায় দেখা যায় তাঁকে। এরই মধ্যে সোমবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের টিম।