সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশিত পথেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। এর ফলে দারুণভাবে লাভবান হচ্ছে রাজ্যের মহিলারা। বিভিন্ন স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মাধ্যমে তৈরি হওয়া “লাখপতি দিদি” অন্যতম একটি উদাহরণ।
বৃহস্পতিবার আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে ত্রিপুরা মহিলা কৃষকদের স্বশক্তিকরণ বিষয়ক শীর্ষক কর্মশালা বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের উদ্যোগে এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের সহায়তায় এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার চেহেরা এখন পাল্টে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য। প্রধানমন্ত্রী তৎপরতায় ঘরে ঘরে সুশাসন পৌঁছে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ছাত্রীদের আগে বাইসাইকেল দেওয়া হতো, এখন তাদের স্কুটি দেওয়া হয়। আগামী দিন মহিলাদের দ্বারা ত্রিপুরা রাজ্য এক ভালো স্থানে গিয়ে দাঁড়াবে।
আরো বলেন, রাজনীতি দিয়ে সবকিছু হয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষের আর্থ ও সামাজিক দিকে উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। প্রধানমন্ত্রী কৃষক নিধি সম্মান যোজনা চালু করেছে সরকার। এখন পর্যন্ত ১১ কোটি কৃষক এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অপর একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ বন্ধন যোজনা চালু করেছে। এতে ২৩.৩৮ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বলেন, মহিলাদের নিরাপত্তার দিকেও সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার রাজ্যের মোট নয়টি মহিলা থানা স্থাপন করেছে। ২৪ ঘন্টা যাতে মহিলারা সুরক্ষা পেতে পারে তার জন্য এই মহিলা থানাগুলো স্থাপন করা হয়েছে। মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য এস এইচ জি চালু করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত হয়েছে রাজ্যের ৫ লক্ষাধিক মহিলা বলে জানান মু্খ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।