কৌস্তভ বাগচীর সঙ্গে হলায়–গলায় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তাই তো বারবার কৌস্তভকে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুর সভা–সমাবেশে। আবার শুভেন্দুকেও দেখা যায় কৌস্তভের বাড়ির পুজোতে। সদ্য তা দেখেছিল বঙ্গবাসী। তারপর বুধবারই ছেড়ে দেন কংগ্রেস। আর আজ, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস ছেড়ে এবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারে উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। সূত্রের খবর, আসলে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার টিকিট মিলবে বলেই দলবদল করলেন কৌস্তভ।
বুধবারই কংগ্রেস ছাড়েন কৌস্তভ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিন পাতার চিঠি পাঠান তিনি। সেখানেই জানান, কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ ছাড়ছেন। কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে বহুদিন ধরেই যুক্ত কৌস্তভ।
এদিকে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। তার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র দত্ত যোগ দেন। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এখন গঠন করা হয় যোগদানের জন্য বিশেষ কমিটি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যোগদানের জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। কমিটির আহ্বায়ক পদে আছেন শুভেন্দু অধিকারী। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জাতীয় স্তরে যোগদানের বিষয়টি দেখছেন। এখানে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
অন্যদিকে একদিন আগেই কংগ্রেস ছাড়েন কৌস্তভ বাগচী। আর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ই–মেল করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান এই আইনজীবী। তিনি আশা করেছিলেন কংগ্রেস তাঁকে বহিষ্কার করলে বিজেপিতে হিরো হয়ে যাবেন। কিন্তু সেটা হল না। বরং তাঁকেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যেতে হল।
রাজ্য–রাজনীতিতে খুব বিরাট কোনও আন্দোলন করতে দেখা যায়নি কৌস্তভকে। তবে কিছু মামলা–মোকদ্দমা করে লাইমলাইটে এসেছিলেন। তার পর ইদানিং বিকল্প শক্তি হয়ে ওঠার কথা বলেছিলেন। কদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছকে ফেলা হয়। সেই ছক অনুযায়ী আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ।