ঢাকার নাটকপাড়া হিসেবে খ্যাত বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে এ অগ্নিকান্ড ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায়। ৭তলা বিশিষ্ট ভবনের নীচ তলায় প্রথম অগ্নিকান্ড শুরু হয়। পরে দ্রুত উপরের তলার দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আগুন লাগার পর তিনি সারারাত আহতদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে অবস্থান করেন। ঘটনায় দ্বন্ধ আরো প্রায় ৪০ জনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। রাষ্ট্রপতি মো, সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আহত সবাইকে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজ শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগুন লাগার পর ভবনের বন্ধ জায়গায় ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকে মারা গেছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছেন।আজ সকাল পৌনে ৭টাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ফোন করে আহতদের খোঁজ- খবর নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ভবনে আগুন লাগার পরপরই দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘন্টার চেষ্টায় রাত ১২টায় মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, এনএসআই, বিজিবি ও র্যাব।
অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে কোথা থেকে এ নিয়ে এখনো পরিস্কার কোন বক্তব্য দিতে পারেনি দমকল বিভাগ। তারা বলছেন, বিষয়টি তদন্ত করে বের করা হবে। তবে সাধারণভাবে ধারনা করা হচ্ছে ভবনের দোতলায় অবস্থিত একটি খাবারের দোকানের রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।