বেকার যুবকদের মালয়েশিয়া নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিল সোনামুড়া মতিনগর গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতারক সাইফুল ইসলাম। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই সোনামুড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন প্রতারিত যুবকরা। বর্তমানে অভিযুক্ত পলাতক। সংসার প্রতিপালনের আশায় সোনামুড়ার অনেকেই কাজের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্য সহ বিদেশে পারি দেওয়ার ঘটনা নুতন নয়।
ইচ্ছুক এই সমস্ত যুবকদের বিদেশ পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই সোনামুড়ার আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠেছে একাধিক দালাল চক্র। পাসপোর্ট, ভিসা থেকে বিমানের টিকিট, মেডিক্যাল ফিটনেস বিদেশ গমনের সমস্ত কাজই এই সমস্ত দালাল চক্রের হাত দিয়ে পয়সার বিনিময়ে করে থাকেন অনেকে। কিন্তু এই সমস্ত দালালদের খপ্পরে পরে প্রতারনার শিকার হওয়ার ঘটনাও নেহাত কম নয়। কিন্তু একযোগে ২১ জন প্রতারিত হওয়ার ঘটনা সম্ভবত প্রথম। যা নিয়ে রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার উপক্রম প্রশাসনের। রবিবার রাতে সোনামুড়া থানায় এমনই এক প্রতারনার মামলা নথিভুক্ত হলো। প্রতারিতদের অভিযোগ সোনামুড়া থানা এলাকারই মতিনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম তাদের বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রতারণা করে। লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েও বিমানের ভুয়ো টিকিট ও ভিসা দিয়ে দিয়েছে তাদের।
রবিবার বিমান ধারার জন্য প্রতারনার শিকার হওয়া যুবকরা আগরতলা বিমানবন্দরে গেলে প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। কারণ বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারে তাদের হাতে যে বিমানের টিকিট দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় এমন কোন বিমান সংস্থা নেই। এদিকে সঙ্গে সঙ্গেই বেপাত্তা হয়ে যায় অভিযুক্ত সাইফুল। প্রতারিতদের অভিযোগ প্রতারক সাইফুলের এই প্রতারনার সঙ্গে যুক্ত তার স্ত্রী সহ শশুর বাড়ির লোকজনেরা। সর্বমোট বিদেশ নিয়ে যাওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ৩০ লক্ষাধিক টাকা হাফিজ করে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতারিতরা।
তাদের আরো অভিযোগ, পরবর্তী সময় অভিযুক্তের বাড়িতেও যায় তারা, কিন্তু তাকে না পেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে যায়। শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে জানতে পারে তার নাম সাইফুল নয়। এবং সাইফুলের শ্বশুরবাড়ি লোকজন এই ধরনের অভিযোগের অস্বীকার করেন বলে জানান প্রতারিত হওয়া যুবকরা। এই ঘটনায় ব্যাপক সৃষ্টি হয়েছে সোনামুড়া মহকুমায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এবং তার সাথে কারা জড়িত রয়েছে সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।