অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা— শরীরের প্রতি অবহেলার প্রভাব পড়ে কিডনির উপরে। সে কারণে সাবধানে থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না, তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোমর বা তলপেটে কোনও ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রত্যাগের সময়ে জ্বালা হচ্ছে কি না— এগুলির দিকেই মূলত নজর রাখতে বলেন চিকিৎসকরা। ২০২৩ সালে একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের তরুণদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কিডনি সংক্রান্ত। ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কিডনি সংক্রান্ত রোগে মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সিরা আবার ভুগছেন কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায়।
কিডনির সমস্যা বাড়ছে কেন?
চিকিৎসকেরা বলছেন, মূলত জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তনের কারণেই কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ছে। তা ছাড়া পর্যাপ্ত জল না খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি ঝোঁক এবং শরীরচর্চায় অবহেলা থেকেও এই সমস্যা বাড়তে পারে। তবে কিডনিতে পাথর জমার পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও তা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হতে পারে।
এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
নিয়মিত সাইট্রাস-জাতীয় ফল, সবুজ শাকসব্জি এবং পর্যাপ্ত জল খেলে কিডনিতে পাথর জমার ভয় অনেকটাই কমে। বার বার মূত্রনালিতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কিডনির পাথরের সঙ্গে কিন্তু অ্যালকোহল-জাতীয় পানীয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মদ্যপান নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলেই ভাল। পাশাপাশি, দেহের ওজন যাতে না বাড়ে, সে দিকেও লক্ষ রাখা উচিত।