ক্লাসরুমে যাতে স্কুল শিক্ষকরা মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন সেব্যাপারে বার বার শিক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে। কিন্তু সর্বত্র কি সেই নিয়ম মানা হচ্ছে? তবে এবার এনিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দফতর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এনিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু তারপরেও এই প্রবণতা পুরোপুরি দূর করা যায়নি। সেক্ষেত্রে ফের এনিয়ে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারপরই এনিয়ে নড়েচড়ে বসে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই সঙ্গেই শিক্ষা দফতরের নির্দেশ প্রধানশিক্ষকের অনুমতি নিতে হবে ছুটির জন্য।
এদিকে গত ডিসেম্বর মাসেই এনিয়ে সতর্ক করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই সঙ্গেই স্কুল শিক্ষকদের একাংশের মধ্য়ে আসি যাই মাইনে পাই এই প্রবণতা বন্ধ করার জন্য়ও বার বার সতর্ক করা হয়েছিল। স্কুল শিক্ষকরা যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে যান সেটা নিশ্চিত করার জন্যও বার বার বলা হয়েছিল।
ডিসেম্বর মাসের সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, যাতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নিয়মগুলি কড়াভাবে প্রয়োগ করা হয়। এদিকে অধিকাংশ স্কুলেই পরীক্ষা শেষ। দিন কয়েকের মধ্য়েই শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ। সেক্ষেত্রে এবার সেই নির্দেশিকাকে মেনে চলার ব্যাপারে বলা হচ্ছে।
স্কুল বসার অন্তত ১০ মিনিট আগে স্কুলে শিক্ষকদের পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার থেকে যাতে স্কুল শিক্ষকরা বিরত থাকেন সেব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল চত্বরে পড়ুয়াদের স্মার্ট ফোন, মোবাইল আনার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হচ্ছে। ক্লাসরুমে ও ল্যাবরেটরিতে যাতে স্কুল শিক্ষকরা মোবাইল থেকে বিরত থাকেন সেব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের মন অন্যদিকে না চলে যায় সেজন্যই শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকা দরকার। এমনকী ক্লাসরুমের মধ্য়ে স্মার্টফোন অথবা ব্লুটুথ ডিভাইস যাতে ব্যবহার করা না হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বলা হয়েছে।