Kejriwal challenges ED

দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় কিংপিন হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালই। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুধু তাই নয়, শুক্রবার আদালতে ইডি দাবি করেছে যে আবগারি মামলায় ‘সাউথ গ্রুপ’-কে সুবিধা পাইয়ে দিতে টাকাও চেয়েছিলেন কেজরি। সেটার স্বপক্ষে বয়ানও আছে। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে। যে টাকা ব্যবহার করা হয়েছে গোয়া নির্বাচনে। লেনদেন হয়েছে নগদের মাধ্যমে। আর পুরোটার নেপথ্যে কেজরিওয়াল ছিলেন বলে দাবি করেছে ইডি। সেই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে কী কী বলল ইডি?

১) অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু: বৃহস্পতিবার রাত ন’টায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। তাঁর পরিবারকে সব কিছু জানানো হয়েছে। গ্রেফতারির পঞ্চনামা ছিল। যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে কাজ করা হয়েছে।

২) ইডি: আবগারি নীতির বিষয়ে কথা বলব আমরা। যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেটা পুরোপুরি ভুয়ো ছিল। এমনভাবে ওই নীতি তৈরি করা হয়েছিল, যাতে ঘুষ নেওয়া যায়।

আরও পড়ুন: Bus Routes Changing for East-West Metro: মেট্রো চালু হতেই ৫০% কমেছে আয়, রুট পরিবর্তনের পথে ৩ বাস, কী হতে পারে নয়া পথ?

৩) ইডি: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই চক্রান্তের মূল চক্রী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই নীতি তৈরির ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

৪) ইডি: এই অপরাধের ক্ষেত্রটা শুধুমাত্র ১০০ কোটি টাকা ঘুষ পাওয়ার গণ্ডিতে আটকে নেই। বরং যাঁরা ঘুষ দিয়েছেন, তাঁরা যে মুনাফা কামিয়েছেন, সেটাও যুক্ত আছে। অঙ্কটা ৬০০ কোটি টাকার মতো।

৫) ইডি: হাওয়ালার মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। যা গোয়া নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছিল।

 ‘দুর্নীতি মুক্ত ভারত’-র ডাক দিয়ে রাজনীতিতে উত্থান, সেই কেজরিকেই গ্রেফতার করল ED

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির ঘটনার নিন্দায় মমতা

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির ঘটনার নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বেলার দিকে তিনি বলেন, ‘মানুষের দ্বারা নির্বাচিত দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারির ঘটনার তুমুল নিন্দা করছি। আমি যে তাঁদের পাশে আছি, সেই বার্তা দিতে ব্যক্তিগতভাবে সুনীতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের যখন ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করা হচ্ছে এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে, তখন সিবিআই বা ইডি তদন্তে নাম থাকা ব্যক্তিরা উলটো-পালটা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁরা সেই সুযোগ পাচ্ছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর ভয়ংকর আঘাত।’