বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সর্দার নাজিম উদ্দিন। পুলিশ বাগবাসা থানার অন্তর্গত উত্তর গঙ্গানগর এলাকা থেকে দুটি গাদা বন্দুক, দুইটি ধারালো দা ও লক কাটার সহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করে যাচ্ছে ডাকাত দল। সম্প্রতি রাজধানীর আড়ালিয়া ও বলদাখাল এলাকায় ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করে ডাকাত দল।
তারপর উত্তর জেলায় ঘটে যায় আরও কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা। রাজধানীর আড়ালিয়া ও বলদাখাল এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ একজন সন্দেহ ভাজন ডাকাত দলের সদস্যর ছবি প্রকাশ করেন। কিন্তু ডাকাত দলের টিকির নাকাল পায় নি পুলিশ। অবশেষে সাফল্য পেল উত্তর জেলা পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনার সাথে যুক্ত ডাকাত দলের সর্দারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল উত্তর জেলা পুলিশ। রবিবার ধর্মনগর থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান, তাদের কাছে ২৯ মার্চ ভোরে গোপন সংবাদ ছিল বাগবাসা থানার অন্তর্গত উত্তর গঙ্গানগরে একটি ডাকাত দল অবস্থান করছে। ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতির পরিকল্পনা করছে। সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পুলিশকে দেখতে পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাত দলের সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও শূন্যে গুলি চালায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকাত দলের সর্দার নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার বাড়ি চুরাইবাড়ি থানার অন্তর্গত ফুলবাড়ি গ্রামে। দুইটি গাদা বন্দুক, দুইটি ধারালো দা ও লক কাটার সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান ডাকাত দলের এক সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধৃত ডাকাত দলের সর্দার নাজিম উদ্দিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সম্প্রতি আগরতলা শহরে দুইটি ডাকাতির ঘটনার সাথে তাদের দল যুক্ত।
এছাড়াও ধর্মনগরে ঘটে যাওয়া চুরি ও ডাকাতির ঘটনার সাথে নাজিম উদ্দিন যুক্ত থাকার প্রমান রয়েছে পুলিশের নিকট।শনিবার ধর্মনগর থানার পুলিশ ধৃত নাজিম উদ্দিনকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে সে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ টিম ধর্মনগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে ধৃত নাজিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। ধৃত নাজিম উদ্দিন ও তার দলের বিরুদ্ধে ধর্মনগর থানায় অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।