রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়লো এক যুবক। এই ঘটনা খোদ রাজধানী আগরতলায়। ধৃত সন্দেহভাজন প্রতারকের নাম পলাশ ব্যানার্জি। রাজ্যের বরিষ্ঠ সাংবাদিক তথা হেডলাইনস ত্রিপুরার এডিটর প্রণব সরকারের তৎপরতায় পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় সাংবাদিক প্রণব সরকারের কাছে একটি ভুয়া ফোন এসেছিল। ফোনের অপরপ্রান্তের লোক নিজেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার অবর সচিব অরূপ দেব হিসেবে পরিচয় দেয়। প্রণব সরকারকে ফোন করে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে নির্বাচনের বিজ্ঞাপন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করা হয় । বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সচিব অরূপ দেবকে দুটি দামি মোবাইল উপহার করলেই প্রচারের জন্য বহু টাকার বিজ্ঞাপন ধরিয়ে দেওয়া হবে প্রণব সরকারের চ্যানেলে ।
সাংবাদিক প্রণব সরকার ফোন পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি টের করতে পারেন। সত্যতা যাচাই করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবের কাছে ফোন করে পুরো বিষয়টি জেনে নেন। বিষয়টি অবগত করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপরে তিনি বিষয়টি জানান রাজ্য পুলিশের ডি আই জি কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীকে। পুলিশের মদতে তিনি প্রতারককে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করেন। সেইমতো পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারককে ফোন করে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে মোবাইল নেওয়ার কথা বলেন। প্রতারকের যাতে কিছুতেই সন্দেহ না হয় তার জন্য তিনি মোবাইলের দুটি খালি প্যাকেট নিজের সঙ্গে করে নিয়ে নেন।
প্রতারক মোবাইল ফোন নিতে আসলেই সাংবাদিক এবং পুলিশ মিলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। উল্লেখ্য একই ধরনের ফোন ইতিপূর্বে রাজ্যের আরেকজন ব্যবসায়ীর কাছে এসেছিল। সেই ব্যবসায়ীও এদিন সাংবাদিক প্রণব সরকারের সঙ্গে মিলে প্রতারককে ধরার ক্ষেত্রে পুলিশকে সাহায্য করেন। যদিও হাতেনাতে ধরা পরার পর পলাশ ব্যানার্জি নিজেকে সচিব অরূপ দেবের সহযোগী হিসেবে দাবি করছেন। পলাশ ব্যানার্জীর দাবি অরুপ দেব তাকে এই মোবাইল গুলি নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল। ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পশ্চিম থানার পুলিশ এই ঘটনায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণা এবং সাংবাদিকের তৎপরতায় প্রতারকের ধরা পরার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।