শেষ ৯ ওভারে জয়ের জন্য লখনৌ সুপার জায়ান্টসের দরকার ১২৩ রান! এমনকি মোস্তাফিজুর রহমান ১৫তম ওভারে যখন নিজের দ্বিতীয় ওভারটি করতে আসেন, তখনও চেন্নাই সুপার কিংসের দিকেই হেলে ছিল ম্যাচ।
মোস্তাফিজ ওই ওভারে দেন ১৫। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুর দিয়ে বসেন ২০। ১৭তম ওভারটি বেশ ভালো করেন মাথিশা পাথিরানা। একটি উইকেট তুলে নেন মাত্র ৭ রান দিয়ে।
ফলে শেষ ৩ ওভারে ৪৭ রান দরকার ছিল লখনৌর। মোস্তাফিজ দুটি আর একটি ওভার করবেন পাথিরানা, চেন্নাই শিবিরে তাই স্বস্তির হাওয়া বইছিল। সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরে যায় মার্কাস স্টয়নিসের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে।
১৮ আর ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ আর পাথিরানা দেন ১৫ রান করে। শেষ ওভারটিতে বল পান মোস্তাফিজ। তার হাতেই ছিল চেন্নাইয়ের ভাগ্য। ৬ বলে ডিফেন্ড করতে হবে ১৭ রান।
মোস্তাফিজের নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু যাচ্ছেতাই বোলিংয়ে তিনি হয়ে গেলেন খলনায়ক। ছক্কা খেয়ে শুরু করলেন। পরের বলে বাউন্ডারি। তৃতীয় বলেও বাউন্ডারি হজম করলেন আবার ওভারস্টেপিংয়ে হলো নো-বল। ফ্রি হিটে আরও এক বাউন্ডারি। ম্যাচ শেষ।
নিজের প্রথম তিন বলে একটি নো-সহ ১৬ রান দিয়ে লখনৌকে জিতিয়ে দিলেন মোস্তাফিজ। ৬৩ বলে ১৩ চার আর ৬ ছক্কায় ১২৪ রানের হার না মানা সেঞ্চুরি করে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিলেন মার্কাস স্টয়নিস। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে তিনি নায়ক হলেন মোস্তাফিজকে খলনায়ক বানিয়ে।