বৃষ্টির মঙ্গলবার্তা দিল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বরং মঙ্গলের সকাল থেকে যেন গরমে আরও বেশি হাঁসফাঁস করছে রাজ্যবাসী। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মে মাসের গোড়ায়ও তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পাবে না দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি।
সারা দেশ জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে বিচার করলে প্রথম দশে স্থান পেয়েছে রাজ্যের দুই। শীর্ষস্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কলাইকুন্ডা। সোমবার কলাইকুন্ডার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুন্ডা এবং গুজরাতের কান্ডালায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একই ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় তার পর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দিয়াল (৪৫ ডিগ্রি), ওড়িশার বারিপদা (৪৪.৮ ডিগ্রি), উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ (৪৪.২ ডিগ্রি), বিহারের শেখপুরা (৪৪ ডিগ্রি), তেলঙ্গানার নিজামবাদ (৪৩.৮ ডিগ্রি), মুম্বইয়ের পানভেল (৪৩.৩ ডিগ্রি)। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা। সোমবার মালদহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দশম স্থানে জায়গা পেয়েছে কেরলের পালাক্কড় (৪১.৩ ডিগ্রি)।
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ— দক্ষিণের এই আট জেলায় তাপপ্রবাহের কারণে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের কারণে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমারও কোনও সম্ভাবনা নেই।
উত্তরের জেলাগুলিতে ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায়। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলের কলকাতায় গত সোমবারের থেকে বেশি গরম এর আগে এক বারই পড়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরে থাকা শহরের তাপমাত্রার নথি বলছে তেমনই। সোমবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৮০ সালে শেষ বার এপ্রিলের কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা এতটা উঠেছিল। সেই নজির ছুঁয়ে গিয়েছে সোমবারের কলকাতা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাপের যা দাপট তাতে কি সোমবারের তৈরি সেই নজির ভেঙে ফেলতে পারে কলকাতা? উত্তর ভবিষ্যৎই বলবে।