গ্রীষ্মের শুরুতেই একেবার অগ্নিশর্মা সুর্য দেব। গত এক সপ্তাহের তাপদাহে বিপর্যস্ত নাগিরিক জীবন। প্রতিদিন তাপ বাড়ছে বৈ কমছে না। মানুষ গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঠান্ডা পানিয়ের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন, কেউ কেউ আবার ডাবের জল, আখের রশে তৃষ্ণা নিবারন করছেন। তীব্র গিরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে বার বার জল পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এই গরমের মধ্যে কিছুটা যেন স্বস্তির বার্তা দিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর। তীব্র দাবদাহ থেকে রেহাই পেতে চলেছে রাজ্যবাসী। আবহাওয়া দফতর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ ও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ১ মে থেকে ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । আগামী ১ মে উত্তর, ঊনকোটি ও ধলাই জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বজ্র বিদ্যুৎ সহ দমকা হওয়ারও সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে।তাছাড়া, আগামী ২ মে পশ্চিম ত্রিপুরা, গোমতী, উত্তর, দক্ষিণ ও সিপাহীজলা জেলায় প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে বজ্র বিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়া। তেমনি, ৩ মে উত্তর, ধলাই ও গোমতী জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, টানা এক সপ্তাহের্ বেশি সময় ধরে রাজ্যে তাবপ্রবাহ চলছে। আবহাওয়া দফতর থেকে প্রতি দিনই তীব্র তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করে চলছে। ইতিমধ্যে তীব্র তাপ প্রবাহ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষা করতে আগামী ১ জুন পর্যন্ত সমস্ত সরকারি, সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয় ও এডিসির বিদ্যালয়ে গুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।আগামীকাল সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আগামীকাল ত্রিপুরায় অধিকাংশ জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আবহাওয়া দপ্তর সুত্রে খবর। তবে তীব্র দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক্ষুনি ভারী বৃষ্টি পাতের প্রার্থনা করছেন রাজ্যবাসী। বিশ্ব উষ্ণায়ন কোণ পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে তা সহজেই অনুমেয়। শহরকে আধুনিক করতে গিয়ে অবিচারে গাছপালা নিধনের ফলে ভু-গর্বস্থ জলেরও অভাব দেখা দিচ্ছে। আগামী কিছু বছরের মধ্যে জলের ব্যপক অভাব পড়তে পারে বলে পরিবেশবিদিদের অনুমান। রাজ্যে গত দুই বছরে রেকর্ড তাপমাত্রা বেড়েছে। এরাজ্যের মানুষ এতো পরিমান তাপদাহের সাথে পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু ধীরে এই তাপমাত্রাও সহ্য হয়ে যাচ্ছে। তবে যাই হউক এই সময়ে রাজ্যের ভারী বৃষ্টিপাত খুবই জরুরি, আবহাওয়া দতরের বৃষ্টিপাতের এই সবুজ সংকেতে নিসন্দেহে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন রাজ্যবাসী।