Petrol Pump

অতিবৃষ্টির কারণে পাহার লাইনে এখনো রাজ্যে ঢুকতে পারেনি পণ্যবাহী রেল। পন্যবাহী রেল চলাচল এখনো স্বাভাবিক না হওয়াতে রাজ্যে জ্বালানি সংকট টিকে থাকতে পারে আরো দু-একদিন। রাজ্য খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি জানা গেছে। অধিকর্তার বিবরণ অনুযায়ী শনিবারের মধ্যেই লামডিং পাহার লাইনে পণ্যবাহী রেল রাজ্যে ঢোকার কথা ছিল।

কিন্তু অতি বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। সাধারণ যাত্রীবাহী রেল সেই লাইন হয়ে রাজ্যে প্রবেশ করলেও অত্যন্ত ভারী হওয়াতে পণ্য এবং জ্বালানিবাহি ওয়াগন এখনো সেই রেললাইন ধরে চলার জন্য সবুজ সংকেত পায়নি। জ্বালানিবাহি রেল সঠিকভাবে রাজ্যে ঢুকছে না বলে রাজ্যে জ্বালানি সংকট আরো এক -দুদিন থাকতে পারে।

তবে অধিকর্তার বিবরণ অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল রেল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই সড়ক পথে পেট্রোল এবং ডিজেল ট্যাংকার রাজ্যে ঢুকছে। প্রতিদিনই কিছু জ্বালানি ট্যাঙ্কার রাজ্যে ঢুকছে। সড়ক পথে আসা সেই পেট্রোল ডিজেলেই এখনো পর্যন্ত রাজ্য সচল রয়েছে। 

অধিকর্তার বিবরণ অনুযায়ী রাজ্যের তীব্র কোন জ্বালানি সংকট নেই। কিন্তু তারপরও একাংশ নাগরিক সংকটের ভয়ে পেট্রোল পাম্প গুলিতে ভিড় করছেন এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জ্বালানি মজুদ করতে চাইছেন। এত করে পাম্প গুলিতে দীর্ঘ লাইন এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে । তাই রেলপথে জ্বালানি আসার আগে পর্যন্ত রাজ্যে পেট্রোল ডিজেল বন্টনে রেশনিং ব্যবস্থা জারি থাকবে।

এক্ষেত্রে সাধারণকে অস্থির হয়ে বারবার পেট্রোল ডিজেল না নিয়ে নিজের প্রয়োজনের নিরিখে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন অধিকর্তা। তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্যে রেল এবং সড়ক পথে সাধারণ পণ্য পরিবহনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাব এবং মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।