লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে ‘চোর’ স্লোগান। কখনও তৃণমূলকে লক্ষ্য করে বিজেপি, কখনও বিজেপিকে উদ্দেশ করে তৃণমূল চোর স্লোগান দিচ্ছে। আর এবার সেই ‘চোর’ স্লোগানের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। রবিবার রাতে সিউড়ির ডাঙালপাড়ায় তাঁকে উদ্দেশ করে ‘চোর’ স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি শতাব্দী।
শতাব্দীকে চোর স্লোগান
জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় হবে বীরভূম কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার আগে জোরকদমে সেখানে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল। রবিবার রাতে সিউড়ির ডাঙালপাড়া এলাকায় মিছিল করছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বেরিয়েছিল বিশাল মিছিল। তখন সেখান দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদের গাড়ি দেখে জয় শ্রী রাম ধ্বনী দিতে থাকেন বিজেপি সমর্থকরা। এর পর ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন তাঁরা। ‘চোর ধরো, জেল ভরো’, ‘তৃণমূলে সবাই চোর’ স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা। তবে গাড়ির কাচ না নামিয়েই কোনও প্রতিক্রিয়া না দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান শতাব্দী রায়। পুলিশ পাইলট করে তাঁর গাড়ি বার করে নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পালটা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় তৃণমূলের নেতা – কর্মীরা। পালটা স্লোগান দিতে শুরু করে তারা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে স্লোগান – পালটা স্লোগান।
সিউড়ি শহর তৃণমূল সভাপতি সফি জানান, ‘সিউড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসছিলেন শতাব্দী রায়। আমরা সেখানেই ছিলাম। হঠাৎ শুনি গণ্ডগোল হচ্ছে। গিয়ে দেখি বিজেপির মিছিল থেকে স্লোগান দিচ্ছে। আমরা গেলে ওরা পালায়।’
আদি চোর বললেন দেবতনু
বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, ‘শতাব্দী রায় সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে যে সংস্থা, সেই টাকায় উনি নিজের পকেট ভরিয়েছেন। সেখান থেকে উনি কত টাকা সরিয়েছেন সবাই জানে। উনি তো তৃণমূলের আদি চোর। ওনাকে চোর স্লোগান দিয়ে আমাদের ছেলেরা একদম ঠিক কাজ করেছে।