abaee480 d120 41c9 8f5d eab696dc3d9b 1068x6012 1

ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্রমশ রহস্য বাড়ছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জড়িত থাকা একের পর এক অভিযুক্তের নামের সন্ধান পেয়ে জালে তুলছে। এবার যাকে পুলিশ জালে তুলেছে তাকে পশ্চিমবঙ্গ মুকুন্দপুর থেকে পুলিশ আটক করেছে। ধৃতের নাম বীর চক্র ঘোষ। পুলিশ প্রথম পর্যায়ে দুজনকে দুই ধাপে জালে তুলে বীর চক্র ঘোষের নাম পায়।

 তারপর অ্যাডিশনাল এস পি -র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত দুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে রবিবার আটক করে বীর চক্র ঘোষকে। রবিবার তাকে গ্রেপ্তারের পর কলকাতায় তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তারপর তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সোমবার সকালে বিমানে তাকে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। তার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানাধীন সিনাই হানি এলাকায়।

বীরচক্র গুলি কাণ্ডের ঘটনার পর পাড়ি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। পুলিশ প্রদ্যুৎ এবং সুস্মিতা নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ রিমান্ডে এনে জেরা করার পর ক্লু -তে বের হয়ে আসে বীর চক্র ঘোষের নাম। তার দ্বারা এই ঘটনার বহু কাজ করানো হয়েছে বলে সূত্রে খবর। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে মুখ খুলতে চাইছে না। এদিকে জিবি হাসপাতাল থেকে আটক করা হলো সুস্মিতা সরকারের মা উমা সরকারকে।

 সোমবার দুপুর ১২ টার পর এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ জিবি হাসপাতাল থেকে উমা সরকারের ছুটি নিয়ে তাকে আটক করেন। মহিলাকে জিবি হাসপাতাল থেকে পশ্চিম মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সেখানে মহিলা পুলিশের উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

সূত্রের দাবি জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যার আগে মহিলাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। অন্যদিকে এই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার বীরচক্র ঘোষকে নিয়ে যাওয়া সোমবার সকালের বিমানে কলকাতা থেকে আগরতলায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল এয়ারপোর্ট থানাধীন শালবাগান স্থিত হাতিপাড়া এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেবকে। তারপর একাধিক ব্যক্তির নাম সামনে উঠে আসে। পুলিশ তদন্তে নেমে ধারাবাহিকভাবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত গত ছয় দিনে পুলিশ গুলি কাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করতে পারেনি।