‘সাচ কে সামনে।’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কথা দিয়েছিলেন যে তিনি রাজভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জনতার সামনে হাজির করবেন। সেই মতো রাজভবনের তরফে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে আনা হয়েছে।
যেদিন শ্লীলতাহানি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেদিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজকে সামনে আনা হয়েছে। প্রায় ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সেই ফুটেজ। ৫টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ফুটেজ দেখিয়েছে রাজভবন। সেখানে রাজভবনের মেন গেট ও নর্থ গেটের ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেখানকার একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে যিনি অভিযোগ করেছিলেন সেই মহিলা ৫টা বেজে ৩২ মিনিটে পুলিশের একটি রুমে যাচ্ছেন। সেখান থেকে প্রায় ৫টা ৪০মিনিটে তিনি পাশের একটি রুমে যাচ্ছেন।
একটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে হন্তদন্ত হয়ে ওই তরুণী প্রথমে রাজভবনের ওসির ঘরে যাচ্ছেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি অ্যাডিশনাল ওসির ঘরে যান। তবে একটি কনফারেন্স রুমে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেখানকার কোনও ফুটেজ অবশ্য় দেওয়া হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকী সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ রাজভবনে ঢুকছেন এমন কোনও ছবিও দেখা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সেদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসার কথা ছিল রাজভবনে। সেকারণে পুলিশের তৎপরতা ছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেখানে শ্লীলতাহানি হয়েছিল বলা হচ্ছে সেখানে কি সিসি ক্যামেরা আদৌ আছে? উত্তর জানা নেই।
ফুটেজে দেখা গিয়েছে পুলিশের তৎপরতা। কারণ সেখানে সেদিন প্রধানমন্ত্রী আসার কথা ছিল। তবে যে ফুটেজ দেখার জন্য বঙ্গবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সেই ফুটেজ কি দেখা গেল? এই প্রশ্নটা ঘুরছে গোটা বাংলা জুড়েই।
এদিকে বুধবার রাজভবনের তরফ থেকে একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল, সম্মানীয় রাজ্যপাল একটি প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। সেটা হল সাচ কে সামনে। পুলিশ যে সাজানো অভিযোগ তুলেছিল তার বিরুদ্ধে।…রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিসি ফুটেজ বাংলার যে কোনও জনগণ দেখতে পারবেন। কেবলমাত্র রাজনীতিবিদ মমতা আর পুলিশকে এটা দেওয়া হবে না। কারণ তারা যে অবস্থান নিয়েছেন। এটা পাবলিক ডোমেনে থাকবে।
যারা এই পুরো সিসি ফুটেজ চান তাঁরা মেল করতে পারেন। এরপর দুটি মেল আইডি দেওয়া হয়েছিল।