পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী তথা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে আয়োজিত রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘মানুষ চায় শান্তির পরিবেশে বসবাস করতে। তাই মানুষ শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে কখন ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবাংলায় ৩২টি আসনের টার্গেট পূরণ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এখানে কুশাসন ও দুঃশাসন চালাচ্ছে। তাই মানুষ চাইছেন কীভাবে তাদের থেকে দূরে সরে আসবেন। মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিশ্বাস করেন।’
আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অপেক্ষা করছেন আগামী ৪ তারিখের। বাংলায় ৩২টি আসনের টার্গেটে আমরা পৌঁছে যাব। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কুশাসন আর দুঃশাসন চালাচ্ছে। তারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত রয়েছে। মানুষ চাইছে এই অপশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে। আর এটা লোকসভা নির্বাচন। আগামীতে পশ্চিমবঙ্গ কোন দিশায় এগিয়ে যাবে এই নির্বাচন থেকেই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এদিন নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ফের একবার ত্রিপুরার রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিশেষ করে বাম জমানার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দীর্ঘ বছর ত্রিপুরা শাসনে এরা খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ চালিয়ে গেছে। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস এই কাজ করে যাচ্ছে। ত্রিপুরায় বামফ্রন্টকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ত্রিপুরায় বামেদের হটিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। আর ২০২৩ সালেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরায় জয়যুক্ত হয়েছে। এবারও লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুটি আসনে শান্তিপূর্নভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ মানুষ শান্তি চায়।