ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত এই বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এই দিন ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে ফলাফল প্রকাশ করেন পর্ষদের সভাপতি ডঃ ধনঞ্জয় গন চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ মার্চ থেকে। ৬৯ টি সেন্টারের ১৪৫ টি ভেনুতে পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ২৩ মার্চ।
এই বছর ১ হাজার ৫৭ টি বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিল ৩৯ হাজার ১৪২ জন। কিন্তু পরীক্ষায় বসে ৩৩ হাজার ৭৩৯ জন। তার মধ্যে পাশ করেছে ২৯ হাজার ৫৩৪ জন। পাশের হার ৮৭.৫৪ শতাংশ। ১০০ শতাংশ পাশ করে ৩১০ টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী। ১০০ শতাংশ ফেল করেছে ১৬ টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী।
পর্ষদ সভাপতি জানান গত বছরের তুলনায় এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে। পরীক্ষা হয় ৬০ টি সেন্টারের অধিন ৯৮ টি ভেনুতে। ৪০৯ টি বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিল ২৭ হাজার ৮২২ জন। পরীক্ষায় বসেছিল ২৫ হাজার ৩৫০ জন। পরীক্ষা শেষ হয় ৩০ মার্চ। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে ২০ হাজার ৯৫ জন। পাশের হার ৭৯.২৭ শতাংশ।
১০০ শতাংশ পাশ করেছে ৩৯ টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী। এইবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সভাপতি জানান মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার সবচেয়ে বেশি গোমতী জেলায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিন জেলা এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম জেলা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার সবচেয়ে বেশি সিপাহীজলা জেলায়, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম জেলা এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিন জেলা বলে জানান তিনি।