সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস, উভয় দলই লিগের ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে। তবে নেট রান-রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামার সুযোগ পায় হায়দরাবাদ। তিন নম্বরে থেকে এলিমিনেটর খেলতে হয় রাজস্থানকে। হায়দরাবাদ কেকেআরের কাছে প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে বসায় তাদের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের পরীক্ষায় নামতে হয়।
অন্যদিকে রাজস্থান এলিমিনেটরে হারিয়ে দেয় আরসিবিকে এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের যোগ্যতা অর্জন করে। এবার চিপকে আইপিএল ২০২৪-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সম্মুখসমরে নামে হায়দরাবাদ ও রাজস্থান। শেষমেশ রাজস্থানকে হারিয়ে কেকেআরের সঙ্গে ফাইনাল খেলার টিকিট হাতে পায় হায়দরাবাদ। হেরে এবারের মতো টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় রাজস্থানকে
চেন্নাইয়ের মাঠে শিশির পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তাই টস জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আগে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। কিন্তু শুক্রবার শিশির পড়েনি। ফলে বল করতে অসুবিধা হয়নি হায়দরাবাদের। তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাদের ধাক্কা দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। বাঁহাতি পেসার বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সদের।
প্রথম ওভারে ১৩ রান দিলেন বোল্ট তুলে নেন অভিষেক শর্মার উইকেট। নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে তুলে নেন রাহুল ত্রিপাঠী এবং এডেন মার্করামের উইকেট। ৫ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট চলে যায় হায়দরাবাদের। কিন্তু তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং রানের গতিকে কমতে দেয়নি। পাওয়ার প্লে-অতে ৬৮ রান তুলে নেয় তারা। ১৫ বলে ৩৭ রান করেন ত্রিপাঠী। সেটাই হায়দরাবাদের রানের গতি কমতে দেয়নি।
এ বারের আইপিএলে হায়দরাবাদকে বার বার ম্যাচ জিতিয়েছেন ট্রেভিস হেড। কিন্তু চেন্নাইয়ে তাঁকে সে ভাবে ছড়ি ঘোরাতে দিলেন না রাজস্থানের বোলারেরা। ২৮ বলে ৩৪ রান করে আউট হেড। তাঁকে আউট করেন সন্দীপ শর্মা। তিনিই তুলে নেন হেনরিখ ক্লাসেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ৩৪ বলে ৫০ রান করেন। তিনিই হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো রানের পুঁজি দেন।
প্রশংসা করতে হবে বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদের। তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেনি হায়দরাবাদ। কিন্তু ১৪ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায় তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শাহবাজ় অলরাউন্ডার। স্পিন বোলিংটা যেমন করতে পারেন, তেমনই ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারেন। হায়দরাবাদের এই পরিকল্পনা কাজে লাগল। ১৮ বলে ১৮ রান করেন শাহবাজ়। তিনি একটি দিক আটকে রাখেন। উল্টো দিক থেকে বড় শট খেলেন ক্লাসেন। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া হায়দরাবাদের কাছে তাঁদের ৪৩ রানের ইনিংস খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।