কার আগে প্রাণ, কে করিবে দান। বিধায়ক হিসেবে বিজয়ী দীপক মজুমদারকে ফুলের মালা দেওয়া নিয়ে দলের দুই গুষ্টির মধ্যে ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পরিণত হয় রক্তাক্ত মারামারিতে এতে ৮– ১০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে আই জি এম হাসপাতালে।
টান টান উত্তেজনার মধ্যে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল কর্মী সমর্থকরা। গণনা শেষে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দীপক মজুমদারকে বিজয় ঘোষণা করতেই আনন্দের উন্মাদনা আছড়ে পড়ে টি আর টি সি অফিসের সামনের দিকে রাস্তায় অবস্থানরত বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এখানেই ছিলেন বিজয়ী দীপক মজুমদার, এই সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কার আগে কে তাদের বিজয়ী নেতাকে জয়ের মালা পরাবেন। এনিয়ে দুই গুষ্টির মধ্যে শুরু হয়ে যায় ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি, একসময় তা কিল ঘুসি এবং মারপিটে পরিণত হয়।
- হেলমেট দিয়ে আঘাত করলে একজনের মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। আহত হয় দুই গুষ্টির বেশ কয়েকজন, বিজয়ী নেতাকে মালা দিতে আসা বর্ডার গোল চক্করের বুলটি দাস এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান যুব মোর্চার ছেলেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
দুই গুষ্টির হুড়োহুড়ির মধ্যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক যুবকের মাথায় সজোরে হেলমেট দিয়ে আঘাত করে অন্য এক যুবক। ওই যুবকের মতে তাকে লোহার ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, তার মাথা থেকে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। তাকে এবং আরো কয়েকজনকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া আইজিএম হাসপাতালে।
জয়ের আনন্দের অতি উল্লাসে নিজেদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে অতি উৎসাহী যুবকরা। অতি আনন্দের সময় এবং অতি দুঃখের সময় কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় সেটাই ভুলে যায় কর্মী সমর্থকরা, বিজয়ী প্রার্থীর সামনেই এ ধরনের ঘটনা তাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছিল।
তিনি দ্রুত সেখান থেকে নিরাপত্তা কর্মী বেষ্টিত হয়ে সরে পড়েন, পরবর্তী সময়ে নিশ্চয়ই তিনি দলীয়ভাবে এ সমস্ত উচ্ছিঙড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।