বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বুধবার তাদের জোটের নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা করল। ফলে তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি’র শপথ গ্রহণ এখন সময়ের অপেক্ষায়।
এন ডি এর জোট সঙ্গীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দিন বৈঠকে বসেন, সেখানে সরকার গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া নরেন্দ্র মোদিকে এনডিএ জোটের নেতা ঘোষনা করা হল। আগামী ৭ তারিখ সংসদীয় পার্টির বৈঠক ডাকা হল ১১ টায়। লোকসভা ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া সরকার গঠন এনডিএ শরিক দলের উপরে নির্ভর করতে হবে মোদি, অমিত শাহ’দের। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার এনডিএ শরীকদের বৈঠক হয়।
এনডিএ’র একটি সূত্রের খবর, সরকার গঠনের নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু দুজনেই লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছেন বিজেপিকে। রাষ্ট্রপতির কাছে মোদির সঙ্গে তারাও যেতে পারেন। সূত্রটির দাবি এনডিএ বৈঠকে সরকার গঠন নিয়ে মোদিকে নীতিশ বলেন, “তাড়াতাড়ি করুন! সরকার গঠনে দেরি করবেন না।” এনডিএ সূত্রের দাবি, বৈঠকে স্থির হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানানোর।
শুক্রবার মোদিকে এনডিএ সংসদীয় দলনেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবারে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন মোদী। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার রাতেই বিদায় মন্ত্রিসভাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই নৈশ ভোজের যোগ দেওয়ার আগে এদিন সকালেই সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় বিজেপি। এনডিএ’র সব সরিকদের নিয়ে রাজধানীর ৭ লোককল্যানমার্গে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয় বৈঠক। পাশে নীতিশ, চন্দ্রবাবুকে নিয়ে বেশ উৎফুল্ল মেজাজেই ফ্রেমে ধরা দেন মোদি। ফলে মনে করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৬টি কেবিনেট পদ দাবি করবেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
জেডি(ইউ) শিবিরে ও নাকি হাওয়া উঠছে নিতিশই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। পাশাপাশি অমিত শাহ’কে নাকি পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন না জেডি(ইউ) প্রধান। এইসব দাবি দেওয়ার মধ্যে থেকে সমস্যা সমাধানের সূত্র বের হওয়ার পর সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।