তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মন্ত্রিসভার শপৎগ্রহণ ও অধিবেশন শুরুর মাঝে রেল দুর্ঘটনা, একাধিক সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস সামনে আসায় অস্বস্তিতে এনডিএ শিবির। অপর দিকে উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। সোমবার সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েই বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণের পালটা দিলেন মোদিও। নিজের ভাষণে জরুরি অবস্থার ‘কালো দিনে’র কথা স্মরণ করিয়ে কংগ্রেসকে (Congress) চাপে ফেলার কৌশল নিলেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, মোদি জমানাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা চলছে। প্রথম দিনেই সংসদ চত্বরে ‘নিট’ ‘নিট’ আওয়াজ তুললেন কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা।
২৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার ‘জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছিল। সোমবার সংসদে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সেকথা মনে করিয়ে দিলেন মোদি। তিনি বলেন, ”সংসদকে যাঁরা সম্মান করেন, তাঁরা দিনটি ভুলতে পারবেন না। ২৫ জুন সংবিধানের যে কালো দাগ লেগেছিল, তার ৫০ বছর পূরণ হবে আগামিকাল।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা গৌরবের সঙ্গে সংবিধানকে রক্ষা করতে পেরেছি। দেশবাসী সংকল্প নেবে যে ভবিষ্যতে কেউ আর এই কালো দিন আনার সাহস দেখাতে পারবে না। আমরা জনগণের স্বপ্ন পূরণে সংকল্পবদ্ধ।”
মোদি ‘এমারজেন্সি’ নিয়ে কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে চাইলেও শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে পালটা চাল দিল বিরোধীরা। সংসদের ভিতরে রব উঠল ‘নিট’ ‘নিট’ ‘নিট’। এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “৫০ বছর পুরনো এমারজেন্সি নিয়ে কথা বলছেন আপনি, ভুলে গেলেন গত ১০ বছর ধরে যে অঘোষিত এমারজেন্সি চলছে!” কৌশলী বিরোধী নেতা আরও বলেন, “গোটা দেশ চায় পরীক্ষা দুর্নীতি, পশ্চিমবঙ্গের রেল দুর্ঘটনা এবং মণিপুরের হিংসা নিয়ে কথা বলুন প্রধানমন্ত্রী।” সব মিলিয়ে সংসদে প্রথম দিনেই চাপে এনডিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।