শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। জমি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখান থেকে আর্জি প্রত্যাহার করে নেন। অবশেষে তাঁকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট।
অবশেষে জামিন পেলেন হেমন্ত সোরেন। শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। জমি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখান থেকে আর্জি প্রত্যাহার করে নেন। অবশেষে তাঁকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট।
রাঁচিতে ৮.৮৬ একর জমি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ রয়েছে হেমন্তের বিরুদ্ধে। জমি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে হেমন্তকে (Hemant Soren) গ্রেপ্তার করেছিল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জেএমএম নেতা। তার পর থেকে একাধিকবার তাঁর মামলার শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) দিন ঘোষণার পর থেকেই তাঁর আর্জি ছিল, ভোটপ্রচার করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালত রীতিমতো ভর্ৎসনা করে জেএমএম নেতাকে। দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবসরকালীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই আর্জিতে তথ্যগোপন করা হয়েছে। এমন তিরস্কারের মুখে পড়ে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন জেএমএম নেতার আইনজীবী কপিল সিবাল। ফলে ভোটের মধ্যে আর জেল থেকে বেরতে পারেননি হেমন্ত। কিন্তু নতুন সরকার গঠনের কয়েকদিন পরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট (Jharkhand High Court)। গত জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ মাস পরে জেল থেকে মুক্তি পাবেন তিনি।