বিধানসভার স্পিকারের দাবি, রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেননি। ফলে বিল আর আইনে পরিণত হয়নি।
গণপিটুনির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এই মর্মে বিল পাশ হয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু তা আজও আইনে পরিণত হয়নি। ৫ বছর ধরে লালফিতের ফাঁসে আটকে সেই বিল। কিন্তু কেন? বিধানসভার স্পিকারের দাবি, রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেননি। ফলে বিল আর আইনে পরিণত হয়নি। এই অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দাবি, রাজ্যের কাছে বিল সংক্রান্ত কিছু ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার জবাব এখনও পাননি। সবমিলিয়ে গণপিটুনি বিল নিয়েও অব্যাহত রাজভবন-বিধানসভা দ্বন্দ্ব।
কখনও চোর সন্দেহে, কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা সামনে আসছে। যার ফলে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমন পরিস্থিতিতে চর্চায় উঠে এসেছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল, ২০১৯’-বিলটির কথা। ২০১৯ সালে বিলটি পাশ হয়েছিল বিধানসভায়। বলা হয়েছিল, গণপ্রহারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। বিল পাশ হলেও আইন প্রণয়ন হয়নি। দিন কয়েক আগে এ প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করায় বিল আইনে পরিণত হতে পারেনি।”
মঙ্গলবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে এই অভিযোগের জবাব দেন সি ভি আনন্দ বোস। এক্স হ্যান্ডেলে সি ভি আনন্দ বোস লেখেন, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল, ২০১৯ ওই বছরের ৩০ আগস্ট বিধানসভায় পাশ হয়েছিল। অনুমোদনের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার সেটি রাজভবনে পাঠায়। বিলটির বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছিলাম আমি। সেই ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি।’ রাজ্যপালের কথায়, ‘২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে সেই ব্যাখ্যা বকেয়া পড়ে রয়েছে।’ বিল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বোস। তাঁর কথায়, ‘বিলের খসড়ায় সর্বোচ্চ সাজা স্বরূপ মৃত্যুদণ্ডের কথা ছিল না। কিন্তু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে তা ছিল! এটা তো নিছক মুদ্রণ ভুল হতে পারে না।’ যদিও এ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সবমিলিয়ে গণপিটুনি বিল নিয়ে রাজ্য-রাজভবনের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত রইল।