বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার ইস্তফার পর ভারতের সব বাংলাদেশ সীমান্তে হাইঅ্যালার্ট জারি করছে বিএসএফ। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে কলকাতায় এসেছেন বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) দলজিৎ চৌধুরী।
বিএসএফ-এর মিজোরাম-কাছাড় ফ্রন্টিয়ারের জনৈক পদস্থ আধিকারিক এ খবর দিয়ে জানান, গত প্রায় কুড়িদিন থেকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য রেখে পশ্চিমবঙ্গ সহ অসমের করিমগঞ্জ, কাছাড়; ধুবড়ি জেলার ঘোষপাড়া, ঘিউমারি, তিস্তাপাড়া, সিংগালদা, বিন্নাছড়া বিওপি-র কাছে দেড়শো মিটার উন্মুক্ত গঙ্গানদী; মেঘালয়ের রাতাছড়া, ডাউকি; ত্রিপুরা এবং মিজোরামের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এর মধ্যে আজ খোদ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার ঘটনায় ভারতের সব বাংলাদেশ সীমান্তে হাইঅ্যালার্ট জারি করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, অসম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তাঁদের নির্দিষ্ট সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করেছেন সংশ্লিষ্ট বোর্ডার আউট পোস্ট কর্তৃপক্ষ।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ত্রিপুরা সরকারের অন্যতম শরিক তিপ্রা মথার নেতা প্রদ্যোতমাণিক্য দেববর্মা গতকাল তাঁর এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে নতুন করে সৃষ্ট বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ‘প্ল্যান বি’ প্রস্তুত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন। তাতে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির প্রভাব সীমান্তবর্তী ভারতের অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গে ফেলতে পারে।
এক্স হ্যান্ডলে প্রদ্যোতমাণিক্য আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রভাব সব আগে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে পড়বে। তাই এখন বা ভবিষ্যতে কোনও কিছু ঘটার আগে ভারত সরকারের অবশ্যই একটি ‘প্ল্যান বি’ থাকতে হবে। তিনি স্থানীয় জনগণ তথা দেশের আদি বাসিন্দাদের সর্বোত্তম সুরক্ষা প্রদান করতে ‘প্রিপেয়ার অ্যান্ড এমপাওয়ার্ড’ (প্রস্তুত এবং ক্ষমতায়ন) করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, মেঘালয় এবং ত্ৰিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ২,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ওই সব সীমান্তের বহু জায়গা এখনও উন্মুক্ত। বেশ কিছু সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘন জনবসতি এবং ঘন জঙ্গল পরিবেষ্টিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল।