অবশেষে আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবিই মানল সেনা। তাঁরা সাফ জানিয়েছিলেন, দেশে সেনাশাসন মানবেন না। সেনা সমর্থিত সরকারকে মানবেন না। প্রয়োজনে ফের রাস্তায় নামবেন। মঙ্গলবার দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁদের দাবিই মানল সেনা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাতেই জানিয়ে দেওয়া হল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। প্রথম থেকেই এই দাবি জানিয়ে এসেছিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, হাসিনা জমানায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বাংলাদেশের তৎকালীন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনুস-সহ চারজনকে ছমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন জানান, “বঙ্গভবনে আজ রাতে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক-সহ সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হবে।”
সোমবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সঙ্গে সঙ্গে পতন হয় আওয়ামি লিগ সরকারের। তার পরেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই হাসিনার পতন বলে মনে করছেন অনেকে। হাসিনা সরকার পতনের পরে বাংলাদেশে সেনাশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলেই অনুমান ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
তবে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে সেনাশাসন কোনওমতেই মেনে নেওয়া হবে না। বরং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নিযুক্ত করা হোক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনুসকে। মঙ্গলবার একটি ভিডিও বার্তায় আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়, এই প্রসঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন নোবেলজয়ীর সঙ্গে। দেশের এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তিনি রাজি হয়েছেন সরকারের দায়িত্ব নিতে। রাষ্ট্রপতির ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে এই দাবিই জানিয়েছিল তারা। ছাত্রদের সেই দাবি মেনে নিল রাষ্ট্র।