বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখলেন ত্রাণ ব্যবস্থাপনা। যাতে বন্যায় দুর্গত মানুষ সব ধরণের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান।
এদিন আগরতলার ধলেশ্বরের স্বামী দয়ালানন্দ বিদ্যানিকেতন, রামঠাকুর উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং বড়দোয়ালির স্বামী বিবেকানন্দ স্কুলের অস্থায়ী ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আজ দক্ষিণ জেলায় যাওয়ার কথা থাকলেও প্রবল বর্ষণে রাস্তা খারাপ হওয়ার দরুণ সেটা সম্ভব হয়নি। এজন্য রাজধানী আগরতলার আশপাশে থাকা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছি। কোনদিন ভাবা যায় নি যে ত্রিপুরার মতো জায়গায় এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এটা একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গোমতী জেলায় প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজকেও আগরতলা ও এডিনগরে ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যায় দুর্গত মানুষের খোঁজখবর নিতে এসেছি। যাতে তাদের কোন অসুবিধা না হয়। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সবাই কাজ করছেন। প্রশাসন সকলের পাশে রয়েছে। এর পাশাপাশি কাউন্সিলারগণও খুব ভালো কাজ করছেন। দলের কার্যকর্তাগণও মাঠে নেমে কাজ করছেন। আমাদের দলের সভাপতিও রয়েছেন। তিনিও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। দলের কার্যকর্তাদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সভাপতি। তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানান, এখন পর্যন্ত যা খবর রয়েছে সারা রাজ্যে ৩২০টির মতো ত্রাণ ও আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। এগুলিতে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক দুর্গত মানুষ এসকল শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা দুর্গত মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিদর্শন কালে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকগণ। এর পাশাপাশি এদিন আগরতলার ইন্দ্রনগরের আইটি ভবনে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। সেখানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আগরতলা শহরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ব্যবস্থাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।