সোশাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল ঘোষের দাবি, ‘টাকা কিংবা টাকা নয়, দুরকম ভিডিওই প্রকাশ্যে। কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না।’
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নাকি পরিবারকে টাকার ‘অফার’ দেওয়া হয়েছিল। এবং তা দেওয়া হয়েছিল পুলিশেরই তরফে। আবার পরিবারের একাংশের দাবি, কোনও টাকার কথা বলা হয়নি। সম্প্রতি নির্যাতিতার পরিবারের সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে এনিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এবার সেই বিভ্রান্তি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ”টাকা কিংবা টাকা নয়, দুরকম ভিডিওই প্রকাশ্যে। কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না।”
হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার প্রায় একমাস হতে বসেছে। তদন্ত করছে সিবিআই। তবে এখনও পর্যন্ত তদন্তে তেমন অগ্রগতি চোখে পড়েনি। তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সব মহলেই। এই আবহে নির্যাতিতার পরিবারের কিছু ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিওতে নির্যাতিতার বাবাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “৯ তারিখ রাতে টাকা দেওয়া হচ্ছিল, যখন মেয়ের দেহ দোতলায় শোয়ানো ছিল। রান্নাঘরের পাশে ছোট জায়গায় নিয়ে গিয়ে টাকার প্রস্তাব দেন ডিসি নর্থ। আমি বলি, আপনার কাঁধের আইপিএস লেখাটা পেতে যে কষ্ট হয়, আমার মেয়ে তার চেয়েও কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। আপনি আমাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছেন! আমাদের মর্মান্তিক লেগেছিল।”
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের সামনে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাতে টাকার প্রস্তাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার মা-বাবাকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের এসব বলার কোনও দরকার নেই। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আমরা কাউকে কিছুই বলিনি। মিথ্যে গল্প বানিয়েছে। আমরা বিচার চাইছি। যাতে ন্যায় বিচার পাই, তার ব্যবস্থা করুন। নিজেদের প্রচারের জন্য কেউ কেউ মিথ্যে প্রচার করছেন।”এবার এই দু ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। X হ্যান্ডলে পোস্ট করে তাঁর বক্তব্য, ”টাকা? অভিযোগ মারাত্মক।টাকা কিংবা টাকা নয়, দুরকম ভিডিওই প্রকাশ্যে। কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না। না থাকলে, কেন এত বড় অংশটা সিবিআইকে বলা হয়নি? আর যদি বলা হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই এতদিনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল না কেন?” অর্থাৎ টাকার ‘অফার’ হোক বা না হোক, গোটা বিষয়টিই এখন সিবিআইয়ের তদন্তাধীন বলে মনে করেন তিনি।