বৃহস্পতিবার নন্দননগর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রের মাথা দিয়ে রক্ত ঝরলো দশম শ্রেণীর ছাত্রের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। এমনই অভিযোগ দ্বাদশ শ্রেণীর রক্তাক্ত ছাত্র রত্নদ্বীপ রুদ্র পালের।
আগরতলার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত এই ছাত্র জানিয়েছেন, দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণীর বিদ্যুৎ সংযোগ একটি জায়গা আছে। আর এর সুইচটা হচ্ছে দশম শ্রেণি কক্ষে। দশম শ্রেণীর একাংশ ছাত্র বেশ কিছুদিন ধরে দ্বাদশ শ্রেণী কক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগের সুইচ অফ করে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার দ্বাদশ শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র রেগে গিয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের কাছে এই সুইচ অফ করার কৈফিয়ত তলব করে। এখানেই ঘটনার সূত্রপাত। ঝামেলা বাঁধে দ্বাদশ শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে দশম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রের।
দশম শ্রেণীর একটি ছাত্র স্কুল থেকে বাইরে গিয়ে বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র রত্নদ্বীপ রুদ্র পালের মাথায়। এতে রত্নদ্বীপ রুদ্র পাল রক্তাক্ত হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে। রক্তাক্ত ছাত্র রত্নদ্বীপ রুদ্র পালের সঙ্গে আগরতলার জিবি হাসপাতালে আসা দ্বাদশ শ্রেণীর অপর এক ছাত্র জানিয়েছে বহিরাগত প্রায় ১০-১৫ জন বিদ্যালয়ের ভেতরে ধারালো অস্ত্র সহ প্রবেশ করার কারণেই এই রক্তারক্তি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন স্কুল চলাকালীন সময়ে গেইটের ভেতরে তালা দেওয়া থাকে। তিনি শুনতে পেরেছেন দশম শ্রেণীর এক ছাত্র দেয়াল টপকে বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে গিয়ে বহিরাগতদের বিদ্যালয়ে ভেতরে প্রবেশ করিয়েছে দেওয়াল টপকেই। রক্তাক্ত ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গেই জিবি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার পর তিনি একটি বৈঠকও ডেকেছেন।