আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাতাবাড়ি ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে দেখা যাবে নতুন রূপে, ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে নতুন রূপে নির্মাণ কাজ। জানুয়ারির শেষেই ঠিকাদাররা রাজ্য সরকারকে তা হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে, শনিবার গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে পর্যটন নিগম আয়োজিত পর্যালোচনা মিটিং শেষে এই সংবাদ জানান পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
শনিবার আগরতলা গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে পর্যটন নিগমের আয়োজনে এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠকে পৌরহিত্য করেন নিগমের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্যের পর্যটনের সার্বিক উন্নয়ন বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় মন্ত্রী জানান পর্যটনের বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু প্রজেক্টের এর মধ্যেই উদ্বোধন হয়ে গেছে, কিছু প্রজেক্ট-এর কাজ চলছে এবং কিছু প্রজেক্ট-এর কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দু বছরের মধ্যে এগুলো সম্পন্ন হবে। এ রাজ্যে পর্যটনের যে মানচিত্র, সেটাকে বিশ্বের দরবারে স্থান করে দিতে এ মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ডোনার এবং এন ই সি সবার সাথে কথা বলে তাদের সাহায্য নিয়ে আগামী দিনে এ রাজ্যে ট্যুরিজমের যে পরিকাঠামো সেটাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই দিশায় আমরা এগোচ্ছি, তিনি আরো জানান আগামী ডিসেম্বর মাসে মাতাবাড়ির কাজ শেষ হয়ে যাবে, ঠিকাদাররা জানিয়েছেন ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সরকারকে তারা সেটা হস্তান্তর করবে।
মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্র এক নতুন রূপ ধারণ করবে, ৫০০ থেকে ৫৫০ কোটি টাকার কাজ হবে ট্যুরিজমে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে পর্যটকদের থাকার জন্য পর্যটন ক্ষেত্র গুলির আশেপাশে যে সমস্ত গেস্ট হাউস রয়েছে সেগুলোকে আধুনিক মানের করে তুলতে হবে। এই গেস্ট হাউস গুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো দক্ষ এবং সংবেদনশীল লোকের প্রয়োজন গেস্টহাউজ গুলো চারিদিকের পরিবেশকে মনোরম করে তুলতে হবে।