বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দ্বন্দ্ব, সামরিক অভিযানের প্রভাব পড়ছে ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর দেশগুলির উপর। খাদ্য়, জ্বালানি ও সারের অভাবে ধুঁকছে তারা। জি-২০ গোষ্ঠীর দরকার এই বিষয়ে নজর দেওয়া। সমস্যা সমাধানের উপায় খোঁজা। সোমবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও-তে জি-২০ সম্মেলনে এমনই বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সম্মেলনে বক্তব্য পেশের পাশাপাশি একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। এই তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর ছবি পোস্ট করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি। সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ওঁর সঙ্গে দেখা করে আমি সবসময়েই খুশি!’ প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুজনের এটাই হয়তো শেষ সাক্ষাৎ। কারণ আগামী ৫ বছরের জন্য মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের উদাহরণ টেনে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে সরব হন মোদি। বলেন, “ভারত ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্য রেশন দেয়। যা ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করছে।” একইসঙ্গে কীভাবে এ দেশের গরিব ও বয়স্কদের সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেকথাও বিশ্বমঞ্চে জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিশ্বে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অধিকাংশ দেশই রয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে। তাদেরই একত্রিতভাবে ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর দেশ বলা হয়। এদিন সেই সব দেশের খাদ্যাভাব নিয়ে সরব হব প্রধানমন্ত্রী।সবমিলিয়ে জি-২০ সম্মেলনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশ্বে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেও পিছিয়ে পড়া দেশগুলির ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণের রূপরেখা তৈরির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।