A R Rahman warns of Legal Case
A R Rahman warns of Legal Case

দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য শেষ করার কথা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন এ আর রহমান। তা নিয়েই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। কেন অস্কারজয়ী শিল্পীর ডিভোর্স ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সহশিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন? এই প্রশ্নে তোলপাড় হয় নেটদুনিয়া। আরও নানা রটনা রটতে থাকে। মোহিনী ও রহমানের সন্তানেরা আগেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ সুরকার।

এক্স হ্যান্ডেলে নিজের লিগাল টিমের পক্ষ থেকে তৈরি করা একটি নোটিস শেয়ার করেন রহমান। কয়েক পাতার সেই নোটিসের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যাঁরা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন তাঁরা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন, তা নাহলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। গত বুধবার সোশাল মিডিয়ায় আচমকাই ডিভোর্স ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী শিল্পী। এর কিছুক্ষণ পরই মোহিনী দের বিচ্ছেদ ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা রটনা রটে নেটপাড়ায়।

রহমান-মোহিনীকে নিয়ে নানা চটুল, রসাল খবর চাউর হতেই শেষমেশ মুখ খুললেন বড়কন্যা রহিমা রহমান। সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে নিন্দুকদের একহাত নিয়ে লেখেন, ‘সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসে করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়ো খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।’ দিদির সেই পোস্ট শেয়ার করেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বোন খাতিজা রহমানও।

রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এসব বিতর্কের কোনও অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনও সূত্র নেই। এটা তাঁদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো। প্রত্যেকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তাঁরা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।” এবার রহমান নিলেন কড়া পদক্ষেপ।