Procurement of Paddy from farmer
Procurement of Paddy from farmer

কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।অন্যান্য বছরগুলির ন্যায় এবারও ১৯ ডিসেম্বর থেকে সরকারিভাবে কৃষকদের নিকট থেকে তাদের উৎপাদিত ধান কেনার কাজ শুরু করেছে সরকার।রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।তার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করা।

খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরার জোলাইবাড়ি মোটর স্ট্যান্ডে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ শুরু হয়।বৃক্ষে জল দিয়ে ধান ক্রয়ের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত,শান্তিরবাজার মহকুমা শাসক গুপ্তা ,জোলাই বাড়ি কৃষি দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক শ্রীধাম দাস সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন,বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।কৃষকদের স্বার্থে কিষাণ নিধি প্রকল্প চালু করা হয়েছে।কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে।গত আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ভয়াবহ ক্ষতির পরেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে কৃষকরা ধান উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে।আগামী তেশরা জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই ধান ক্রয়ের কাজ।এদিন জোলাই বাড়ি বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ধান নিয়ে বিক্রি করার জন্য ভিড় জমায়।এইভাবে সরকারি মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।

তবে বৃহস্পতিবার থাকায় বহু কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান নিয়ে আসেননি বিক্রির জন্য।কারণ কৃষকরা মনে করেন,মা লক্ষ্মীর প্রধান শস্য হলো ধান।আর দেবীর বিশেষ এই দিন লক্ষীবার হওয়ায় ধান কে ঘরের বাইরে আনা অশুভ।সেই মান্যতাই আটকে রেখেছে বহু কৃষককে।জমিতে ধান লাগানো থেকে পাকা ধান তোলার পর ক্যারিং,শ্রমিক,বস্তা সহ অনেক টাকা খরচ হয় কৃষকদের।সরকারি ২৩ টাকা মূল্যে প্রতি কেজি ধান বিক্রি করলে সেই রকম লাভের টাকা হাতে আসে না কৃষকদের।এমনটাই অভিমত রাজ্যের কৃষক মহলের।সরকারি দপ্তর কর্তাদের এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে।পাশাপাশি কৃষকদের ঘরের ছেলেমেয়েরা কেউ নতুন করে কৃষি কাজে আসতে চাইছে না।তাই এক একজন জমির মালিক কৃষি জমি ভাগচাষীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।এই জায়গায় দপ্তরের কাছে ভাগ চাষীদের নাম নেই।নাম রয়েছে জমির মালিকদের।স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।