আচমকাই বাতিল আধার কার্ড! এক-দু’জন নন, রাজ্যের অন্তত ৬০ জনের কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, যাতে ভোট দিতে না পারে, সেই কারণে অনেকের আধার বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তার পরেই আধার বাতিলের খবর প্রকাশ্যে আসায় এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিও।
২০১৭ সালেও দেশ জুড়ে অন্তত ৮১ লক্ষ মানুষের আধার বাতিলের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই সময় কেন্দ্র জানিয়েছিল, সঠিক তথ্য না থাকার কারণেই আধার বাতিল করা হয়েছে। আধার কার্ড বাতিল বা নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রয়েছে ইউআইডিএআই-এর হাতে। আধার কার্ড রেগুলেশনের ২৭ এবং ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ভাবে একই ব্যক্তির নামে দু’টি পৃথক আধার কার্ড জারি করা হলে বা তাতে কোনও গন্ডগোল থাকলে, কার্ড বাতিল বা নিষ্ক্রিয় করা যেতে পারে। তা ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা বায়োমেট্রিক তথ্যে ভুল থাকলেও আধার নিষ্ক্রিয় করা হয়ে থাকে।
নিয়মানুসারে, পাঁচ বছরের কম বয়সি কোনও শিশুর নামে আধার কার্ড থাকলে, পাঁচ বছর বয়সের পরে তার বায়োমেট্রিক্স তথ্য আপডেট করতে হবে। ফের ১৫ বছর বয়স হওয়ার পর আবার ওই তথ্য পুনরায় দিতে হবে। এই তথ্য আপডেটের জন্য দু’বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়। এই দু’বছরের মধ্যে আপডেট না হলেও আধার কার্ডটি বাতিল করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কী কারণে আধার কার্ড বাতিল করা হল, তা স্পষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন জামালপুরের বাসিন্দারা।