Modi heads to poll-bound Bihar, skipping the all-party meeting on Pahalgam! Congress slams him.
Modi heads to poll-bound Bihar, skipping the all-party meeting on Pahalgam! Congress slams him.

৪৮ ঘণ্টা আগে দেশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়ে গিয়েছে। শোকের আবহ থেকে এখনও বেরোতে পারেনি আমজনতা। সরকারের তরফেও যে তৎপরতা নেই, তেমন নয়। বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে একাধিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সর্বদল বৈঠকে থাকবেন না খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটমুখী বিহারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাই নিয়েই সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। পহেলগাঁও ইস্যুতে আজ সন্ধে ৬টায় সর্বদল বৈঠকে সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্র। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবহিত করবেন। আগামী দিনে এই হামলার প্রত্যাঘাতে কী কী পদক্ষেপ করা হতে পারে, ভারত সরকার এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে, সবটাই ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বক্তব্য রাখতে পারেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। পিএমও সূত্রের খবর, বিহারের মধুবনীতে প্রধানমন্ত্রীর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদি। পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। প্রথমে এই কর্মসূচি রীতিমতো জাঁকজমক করার কথা ছিল। কিন্তু পহেলগাঁও আবহে সেটা অনেকটা অনাড়ম্বর করা হচ্ছে। নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যৌথ কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া এনডিএর জোটসঙ্গী জেডিইউ এই বৈঠকে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না। তাঁদের দাবি, দলের সব নেতা বিহারে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ব্যস্ত। সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ বলছেন, পহেলগাঁওয়ের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে বৈঠক। তাতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। সোশাল মিডিয়ায় রমেশের পোস্ট, “পহেলগাঁও ইস্যুর স্পর্শকাতরতা এবং গভীরতা বুঝে প্রধানমন্ত্রীর উচিত এই ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকা। কংগ্রেস তেমনটাই প্রত্যাশা করে। দেশবাসীর মানসিকতাও তেমনই।” উল্লেখ্য, পহেলগাঁও ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। দলের কার্যকরী সমিতির বৈঠকেও ডাকা হয়েছে তড়িঘড়ি। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকের আগে পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে।