ভূমিধসে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েছিলেন হাজারের বেশি পর্যটক। গতকাল রবিবার সব পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। এদিকে গতকাল থেকেই পূর্ব সিকিমের আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। শিলাবৃষ্টি হতে শুরু করে। সোমবার সকাল থেকে ভারী তুষারপাত শুরু হয় পূর্ব সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ছাঙ্গু উপত্যকায় আটকে পড়ে দুশো গাড়ি বোঝাই পর্যটক। উদ্ধারকাজে হাত লাগান সিকিম পুলিশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে, আজ সোমবার ভারত-চিন সীমান্তের না-থুলা ভ্রমণের পার্মিট ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলের পর থেকে পূর্ব সিকিমজুড়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। রাতের পর থেকে উঁচু এলাকায় ভারী তুষারপাত শুরু হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় চলে তুষারপাত। ছাঙ্গু উপত্যকা ও না-থুলা পাসের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র তুষারের চাদরে মুড়ে যায়। প্রবল শিলাবৃষ্টি হয়েছে ইয়ুমথাং, লাচুং এলাকায়। একই সঙ্গে পাকিয়ং, কার্থিক, নোয়াপ গাঁও, দিকলিং, পচে এবং মামরিং অঞ্চলেও শিলাবৃষ্টির খবর মিলেছে। তুষারপাতের খবর মিলতে সোমবার সকাল থেকে পর্যটকরা ছাঙ্গু উপত্যকায় ভিড় জমাতে শুরু করে। কিন্তু সড়কপথ বরফ জমে পিছল হয়ে যাওয়ায় গাড়ি এগোতে পারেনি। দেখা যায় প্রবল যানজট। তার উপর কনকনে ঠান্ডায় কার্যত সমস্যায় পড়েন পর্যটকরা। প্রায় দুশো পর্যটক বোঝাই গাড়ি বরফে আটকে যায়। পরিস্থিতি যথেষ্ট প্রতিকূল হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পর্যটকদের মধ্যে। তুষারের মধ্যে পর্যটকদের আটকে পড়ার খবর যায় সিকিম পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে। সেখানে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধারকাজে হাত লাগায় জওয়ানরা। বরফ কেটে, সরিয়ে গাড়ি চলাচলের যোগ্য করা হয় রাস্তা। সেনাবাহিনীর গাড়ির পিছনে দড়ি বেঁধে পর্যটকদের গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রবিবার শিলাবৃষ্টির পর একটি পর্যটকবোঝাই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়েছিল। যদিও পর্যটকদের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই খবর। তাঁদেরও উদ্ধার করা হয়। অত্যধিক তুষারপাতের কারণে না-থুলা, বাবা মন্দির ভ্রমণের পার্মিট ইস্যুও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Heavy snowfall in Sikkim after rainfall; Army rescues hundreds of stranded tourists