পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের সিগন্যাল এবং দিকনির্ণয় ব্যবস্থা বানচাল করতে বিরাট জ্যামিং সিস্টেম বসাচ্ছে ভারত। সূত্রের খবর, ভারত যে জ্যামার ব্যবহার করছে সেগুলি একাধিক দেশের সিগন্যালে প্রভাব ফেলতে পারে। আমেরিকা-চিনের মতো দেশগুলির দিকনির্ণয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাক বায়ুসেনা। কিন্তু ভারতীয় জ্যামার সিস্টেম সেই প্রযুক্তিকেও হার মানাবে বলে সূত্রের খবর। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। একজন স্থানীয় ছাড়া সকলেই জম্মু ও কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক। তদন্তে উঠে এসেছে, নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে দিল্লি। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা, দূতবাসের কর্মী কামানো ইত্যাদি। বুধবার রাতে ঘোষণা করা হয়, পাকিস্তানের কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। ৩০ এপ্রিল থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। আগামী ২৪মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই নির্দেশিকা। আকাশসীমা বন্ধের নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই ভারত জ্যামার বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। পাক বায়ুসেনা যেন সতর্ক হতে না পারে এবং সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে না পারে, মূলত সেই কারণেই জ্যামার বসানো হচ্ছে। পাক বায়ুসেনার বিমানগুলি যেন দিকনির্ণয় করতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করবে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে বসানো জ্যামারগুলি। আমেরিকার জিপিএস, রাশিয়ার গ্লোনাস, চিনের বেইদু’র মতো দিকনির্ণয় ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাক বায়ুসেনা। কিন্তু এই নেভিগেশন সিস্টেমেও বানচাল করতে পারে ভারতীয় জ্যামারগুলি, খবর সূত্রের। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। তবে বারবার সূত্র মিলেছে যে হামলাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। তাই পাকিস্তানের উপর হামলা চালাতে ভারত, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

India Likely to Deploy Jammers to Disrupt Pakistan’s Navigation Systems