পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার মুখ খুললেন অমিত শাহ। প্রথম ভাষণেই স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানালেন, বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলা আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই। কেবল ১৪০ কোটি ভারতীয় নন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র একজোট হয়ে ভারতের সঙ্গে আছে। আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যতদিন পর্যন্ত না সন্ত্রাসের মূল ধ্বংস হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর জঙ্গিদের খুঁজে বের করে মারার হুঙ্কার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বিহারের মধুবনীতে সভা চলাকালীন তিনি বলেন, “বিশ্বের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক জঙ্গিরা, তাদের খুঁজে বের করে মারবে ভারত। যারা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে, বা আড়াল থেকে মদত দিচ্ছে তারাও ছাড় পাবে না। ওদের যেটুকু জমি বাকি আছে, সেটুকুও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।” পরে মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়। আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।”
পহেলগাঁও হামলার পালটা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা, দূতবাসের কর্মী কমানো ইত্যাদি। পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। তবে পাকিস্তানের উপর এখনও আক্রমণ করেনি ভারত। বৃহস্পতিবার অমিত শাহর হুঙ্কারের পরে চর্চা চলছে, এবার কি তাহলে আক্রমণের পথে হাঁটবে ভারত?