Even if only one committed the rape, all must be punished — Supreme Court verdict in gang rape case.
Even if only one committed the rape, all must be punished — Supreme Court verdict in gang rape case.

‘অপরাধে অপরাধীর সঙ্গী হলে শাস্তির খাঁড়াও সকলের জন্য একই।’ এক গণধর্ষণ মামলার রায়ে ঈশপের গল্পের সেই প্রবাদই কার্যত মনে করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ষক একজন হলেও অপরাধের সময়ে বাকিদের অভিসন্ধিও একই ছিল। ফলে সকলেই গণধর্ষণের অপরাধে দোষী। গত ১ মে শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জয় করৌল ও বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে গণধর্ষণ মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “আইপিসি ধারা ৩৭৬(২)(জি) অনুযায়ী গণধর্ষণ মামলায় যদি একই উদ্দেশ্য নিয়ে এই অপরাধ করে, তবে একজন অপরাধ করলেও সকলেই এই অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্য।” আদালত জানায়, যদি একাধিক ব্যক্তি একই উদ্দেশ্য অপরাধে অংশগ্রহণ করে তাহলে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই যে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা করে ধর্ষণ করেছে। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির দ্বারা সংঘঠিত ধর্ষণের ঘটনা সকলকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার সূত্রপাত ২০০৪ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় মধ্যপ্রদেশের এক মহিলাকে অপহরণ ও গণধর্ষণ করে জলন্ধর কোল ও রাজু নামে দুই অপরাধী। এই ঘটনায় রাজুকে যাবজ্জীবন ও জলন্ধরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। হাই কোর্টও এই রায় বহাল রাখলে রাজু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। রাজুর দাবি ছিল, তিনি ধর্ষণ করেননি ধর্ষণ করেছেন জলন্ধর। ফলে তাঁকে রেহাই দেওয়া হোক। মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, নির্যাতিতার দাবি ছিল রাজুও ধর্ষণ করেছেন। যদি মেনেও নেওয়া হয় রাজু ধর্ষণ করেনি তবুও এই অপরাধে সে লিপ্ত ছিল। ধর্ষণের মানসিকতা নিয়েই এই কাণ্ড করেছিল অভিযুক্ত। ফলে রাজুও সমানভাবে দোষী। প্রমোদ মাহাতো বনাম বিহার রাজ্য (১৯৮৯)-এর মামলার উদাহরণ টেনে শীর্ষ আদালত জানায়, “এই ধরনের মামলায় অভিযুক্তদের প্রত্যেকের দ্বারা ধর্ষণের স্পষ্ট প্রমাণ থাকা আবশ্যিক নয়। যদি তাঁরা একসঙ্গে এই অপরাধ করে এবং উদ্দেশ্য একই হয় তাহলে সকলেই দোষী।”