পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিনের মাথায় সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। এই হামলার পর সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ। সেনার প্রশংসার পাশাপাশি বুধবার দৃপ্ত কণ্ঠে অমিত শাহ জানালেন, সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারত। পাশাপাশি বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারতীয় সেনার এই পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী-সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাতেই মন্ত্রকের তরফে হামলার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে।
প্রত্যাঘাতের পর ভারতীয় সেনার প্রশংসা করে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লেখেন, ‘দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। অপারেশন সিঁদুর হল পহেলগাঁওয়ে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার পালটা প্রতিক্রিয়া। মোদি সরকার ভারতের জনগণের উপর যে কোনও হামলার যোগ্য জবাব দিতে বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, ‘ভারত মাতা কী জয়!’ পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বার্তা, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাক গোটা বিশ্ব।’
জবাবি হামলার পর সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সেনার প্রশংসা করেছে বিরোধী শিবিরও। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা রাহুল লেখেন, ‘দেশের সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। জয় হিন্দ।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘জয় হিন্দ, জয় ইন্ডিয়া।’ পাকিস্তানকে নিশানা করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসের ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন। পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে আর কখনও পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা না ঘটে। জয় হিন্দ।’