গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের ছবি আগেই প্রকাশ করেছিল এনআইএ। তারপর উপত্যকাজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালালেও সেই সন্ত্রাসবাদীরা এখনও ধরা পড়েনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পহলেগাঁওয়ে হামলাকারীদের খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পোস্টার সাঁটাল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
‘সন্ত্রাস মুক্ত কাশ্মীর’ স্লোগান দেওয়া ওই পোস্টারগুলিতে লেখা হয়েছে, ‘যদি কেউ পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পারেন তাহলে তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।’ পাশাপাশি নিরাপত্তার দিক বিচার করে জঙ্গিদের সন্ধান দেওয়া ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বেছে বেছে ধর্মীয় পরিচয় জেনে পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। অভিযুক্ত তিনজনের নামও জানানো হয়েছিল। ওই তিনজন যথাক্রমে হুসেন থোকার, আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। আলি ও মুসা পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, হুসেন কাশ্মীরের বাসিন্দা। এরা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসবাদী গ্রুপ লস্কর-ই-তইবার সদস্য।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর শ্রীনগর পুলিশ ও সেনার তরফে উপত্যকাজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে একাধিক বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ইউএপিএ ধারায় বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তার ঠিক ১৫ দিন পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে থাকা ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। পাশাপাশি কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সোপিয়ানে অভিযান চালিয়ে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা। মৃত জঙ্গিরা সকলেই লস্কর-ই-তইবার সদস্য বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। এবার পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খোঁজ পেতে পুরস্কার ঘোষণা করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।