২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত দেশ গড়াই লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে আরও এগিয়ে গেলেন ‘অপারেশন সংকল্প’-এর দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। গত ২৪ দিনে এখানে খতম করা হয়েছে ৩১ মাওবাদীকে। আর এই পরিস্থিতিতে এক্স হ্যান্ডলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই অভিযানকে বর্ণনা করলেন ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ বলে।
অমিত শাহ লিখেছেন, ‘ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টালু পর্বতে ৩১ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নকশালমুক্তি ভারত গড়ার লক্ষ্যে ঐতিহাসিক সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। এটা মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অপারেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা মাওবাদকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে চলেছি। আমি দেশবাসীকে কথা দিচ্ছি ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ মাওবাদী-মুক্ত হবেই।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে এই পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ৩১ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধারের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা যায়, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এই মাওবাদীদের। বড়সড় সেই অভিযানের পর বুধবার মাও-দমনে নিরাপত্তাবাহিনীর বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরলেন আধিকারিকরা। পুলিশের মতে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের শেষ শক্তঘাঁটি। এই ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতেই এবার কোমর বেঁধে নেমেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে চলা ‘অপারেশন সংকল্প’-এর সাফল্য ব্যাখ্যা করেন সিআরপিএফের ডিজি, ছত্তিশগড়ের ডিজিপি-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। সেখানেই জানানো হয়, বিহার, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানার মাও-অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে লাগাতার অভিযানের জেরে এই উগ্রপন্থী সংগঠনের বেশিরভাগ শীর্ষ কমান্ডার বর্তমানে ঘাঁটি গেড়েছে কারেগুট্টা পাহাড়ে। প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। পাহাড়ে রয়েছে ২৫০টির বেশি গুহা। এই গুহাগুলিই বর্তমানে মাওবাদীদের ঠিকানা। ৩০০ থেকে ৪০০ মাওবাদী ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে এখানে। মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা পাহাড়।