সীমান্ত সংঘর্ষের জন্য বেশ কয়েকদিন স্থগিত রাখা হয়েছিল আইপিএল। শনিবার থেকে তা ফের শুরু হতে চলেছে। চিন্নাস্বামীতে নামছে কেকেআর আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুটো টিমের কাছে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এগারো ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আরসিবি যেখানে লিগ টেবিলে দু’নম্বরে রয়েছে। কেকেআর সেখানে ছয়ে।
আইপিএলের প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা কার্যত শেষ অজিঙ্ক রাহানের টিমে। খাতায়-কলমে একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে। সেটা অবশ্য রাহানেও বলেছেন। তার জন্য বাকি দুটো ম্যাচের দুটোতেই জিততে হবে কেকেআরকে। এই পরিস্থিতিতে অবশ্য রভম্যান পাওয়েল আর মইন আলিকে পাচ্ছে না নাইটরা। তবে ওসব নিয়ে আর ভাবতে চাইছে না কেউ। বরং নিজেদের লক্ষ্য সেট করে ফেলেছে কেকেআর। বাকি দুটো ম্যাচই জিততে হবে। তারপর যা হয় হবে।
কেকেআরের সঙ্গে প্লে অফ যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে আরও চার দল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখন ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে। পাণ্ডিয়া ব্রিগেড যদি বাকি দু’টো ম্যাচ হারে, তাহলে ১৪ পয়েন্টেই থেকে যাবে। সেক্ষেত্রে কেকেআর বাকি দুই ম্যাচ জিতলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বইয়ের উপরে উঠে আসবে। মুম্বইয়ের পরবর্তী প্রতিপক্ষ যথাক্রমে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। কেকেআর চাইবে পাঞ্জাব এবং দিল্লির জয়। মুম্বইকে যদি পাঞ্জাব হারিয়ে দেয়, তাহলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে পৌঁছে যাবে প্রীতি জিন্টার দল।
অন্যদিকে, যেভাবেই হোক মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিততেই হবে দিল্লিকে। কিন্তু নাইটরা এরপর কখনও চাইবে না বাকি দুই ম্যাচে দিল্লি জিতুক। কেবল তাই নয়, সেক্ষেত্রে পাঞ্জাব এবং গুজরাটের বিরুদ্ধে বড় ব্যাবধানে অক্ষর প্যাটেলদের পরাজয় কামনা করা ছাড়া নাইট সমর্থকদের কাছে আর কোনও রাস্তা নেই। একমাত্র এমন ‘অলৌকিক’ কিছু ঘটলেই দিল্লির পয়েন্ট থাকবে ১৫।
তাছাড়াও লখনউ সুপার জায়ান্টসকে বাকি তিন ম্যাচের অন্তত একটিতে হারতে হবে। তাহলে ঋষভ পন্থদের পয়েন্ট হবে ১৪। সেক্ষেত্রে পরপর দুই ম্যাচ জিতলে কেকেআর সহজেই টপকে যাবে দিল্লিকে। যদিও রানরেটের দিকেও নজর রাখতে হবে নাইটদের। আপাতত এসব ভুলে কেকেআরের লক্ষ্য, বাকি দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়।