নরেন্দ্র মোদি সরকারের শিক্ষানীতির বিরোধিতা করায় রাজ্যের ২১৫১ কোটি আটকে রেখেছে কেন্দ্র। দিন দুই আগে এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে মোদির সামনেই কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, বিকশিত ভারত গড়তে হল রাজ্যের প্রাপ্য মেটাতে হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গিতেও বৈচিত্রকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শনিবার দিল্লিতে ভারত মণ্ডপমে ছিল নীতি আয়োগের দশম পরিচালন পরিষদের বৈঠক। যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরিচালন পরিষদের বৈঠকের এবারের থিম ছিল “বিকশিত রাজ্য বিকশিত ভারত@২০৪৭”। মোদি বলেন, “বিকশিত ভারত প্রতিটি ভারতীয়ের লক্ষ্য। যখন প্রতিটি রাজ্য বিকশিত হবে, তখনই ভারতও বিকশিত হবে। এটাই ১৪০ কোটি নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা।” মোদির এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই পালটা দিলেন স্ট্য়ালিন। যাতে কার্যত অস্বস্তিতে পড়লেন নমো।
বৈঠকে নিজের বক্তব্যে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দ্রাবিড় মডেল ‘সবার জন্য সবকিছু’র লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ।” বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক বিকাশের কথা উল্লেখ করেন স্ট্যালিন। তিনি জানান, তামিলনাড়ু ধারাবাহিক ভাবে ৮ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। গত অর্থবর্ষে যা ৯.৬৯ শতাংশে পৌঁছায়, যা সর্বাধিক বৃদ্ধির রাজ্যগুলির একটি। ২০৩০ সালের মধ্যে তামিলনাড়ুর অর্থনীতি ১ ট্রিলিয়ান ডলারে পৌঁছাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী স্ট্যালিন।
এরপরেই মোদি সরকার খোঁচা দিয়ে স্ট্যালিন বলেন, “আমার অনুরোধ, কেন্দ্রীয় সরকার যেন তামিলনাড়ু-সহ সকল রাজ্যের দিকে পক্ষপাতহীন ভাবে হাত বাড়ায়। উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করে।” অভিযোগ করেন, ২০২৪-‘২৫ অর্থবর্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রকল্পের প্রায় ২১৫১ কোটি টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের। উল্লেখ্য, এই দাবিতেই মামলা করেছে তামিলনা়ড়ু। এছাড়াও জিএসটি-র ৫০ শতাংশের দাবি জানান স্ট্যালিন। তিনি বলেন, বিকশিত ভারত গড়তে হল রাজ্যের প্রাপ্য মেটাতে হবে।