করোনার আঁতুড়ঘর চিনে মিলল মারণ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এইচকেইউ৫-কোভ-২ নামে এই নয়া প্রজাতির মিউটেশন একটু এদিক-ওদিক হলেই ফের ভয়াবহ হয়ে উঠবে ভাইরাসটি! যার জেরে আবার শুরু হতে পারে অতিমারী। হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ। মৃত্যু হতে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষের। হতে পারে লকডাউনও! এমনই জানিয়ে সতর্ক করেছেন চিনের বিজ্ঞানীরা।
পাঁচ বছর আগে কোভিড ১৯-এর দাপটে সংক্রমণ-মৃত্যু-লকডাউনের সাক্ষী হয়েছে পৃথিবী। গত কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশে নতুন করে করোনা ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে ভারতে করোনা ভাইরাসের যে প্রজাতিগুলি (এনবি.১.৮.১ ও জেএন.১) সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেগুলির মারণক্ষমতা অনেকটা কম বলেই দাবি করেছে ভারতীয় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহল। কিন্তু চিনের নয়া ভাইরাসের ধরন পরিবর্তিত হলে বিপদ আসতে বেশি সময় লাগবে না। চিনের নয়া ভাইরাসটিতে যে প্যাথোজেন পাওয়া গিয়েছে সেটি মার্স ভাইরাস গোত্রের। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশর মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫,৩৬৪। কেরলে সর্বাধিক সংক্রমিত। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১৬০০। দিল্লিতে আক্রান্ত ৫৯২। গড়ে রোজ ১২০০ আরটি-পিসিআর টেস্ট হচ্ছে রাজধানীতে। গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ১০৬ জন।
২০২০ সালে অতিমারীর সময়ে চিনের একটি গবেষণাগারে বর্তমানে চিনে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এইচকেইউ-৫ ভাইরাসের পরীক্ষাও হয়েছিল। সেই ভাইরাস মানবদেহে খুব সহজেই সংক্রমিত হয় বলে জানান ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গবেষক মাইকেল লেটকো। এইচকেইউ-৫ ভাইরাসের প্রোটিনে সামান্যতম পরিবর্তন হলেই সেটি মানবশরীরের এসিই-২ কোষে দ্রুত সংক্রমিত হবে।