দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পার্টির জনভিত্তি বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বাকি অংশে এখনও সংগঠন দুর্বল। পার্টির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমেই জনভিত্তি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে নিলেন সিপিএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবি। দিল্লিতে সিপিএমের তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে তিনি জানালেন, বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের মোকাবিলা করতে গেলে সংগঠন বাড়ানোর পাশাপাশি বিরোধী ঐক্যকে মজবুত করতে হবে। সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের পর এটাই ছিল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠক। সেখান থেকেই পার্টি পরিচালনার জন্য সাতজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী গঠন করা হয়। যদিও সাতজনের এই কমিটিতে বাংলার কেউ নেই।
চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। গতবার কার্যত কানের পাশ দিয়ে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। কংগ্রেস একটু নমনীয় হয়ে কয়েকটি আসন বামেদের ছেড়ে দিলেই ক্ষমতাচ্যুত হতেন নীতীশ কুমার। এবার যাতে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য দৌত্য শুরু করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবি। সম্প্রতি বিহারে গিয়ে তেজস্বী যাদবের সঙ্গে জোট নিয়ে কথা বলেন তিনি। তারপরেই রাহুল ও সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তেজস্বী। পার্টি মহাজোটের পক্ষে থাকবে এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে আসন বন্টন প্রক্রিয়া চালানোর পক্ষেই সিপিএম সওয়াল করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
তারপর বছর ঘুরলে, ২০২৬ সালে বাংলার ভোট। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে এখনও আলোচনার সময় আসেনি বলে মনে করছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই সংগঠন দেখভালের জন্য এবারের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে কোনও পলিটব্যুরোর সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক জানান, যেহেতু বাংলা থেকে তিনজন পলিটব্যুরোর সদস্য রয়েছেন, তাই আলাদা করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ও ১১ জুন সাংসদ অমরা রামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জম্মু-কাশ্মীর যাবে, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরবর্তীতে সীমান্তের ওপার থেকে পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে।