স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ‘অনসরে’ ছিলেন প্রভু জগন্নাথ। সাধারণ মানুষের জন্য দরজা বন্ধ ছিল জগন্নাথ মন্দিরের। এই কয়েকদিন তিনি দেখা দেননি কাউকেই। সেই ‘অনসর পর্ব’ কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছ’টায় জগন্নাথের গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয়। এদিন নবসাজে দেখা দেন প্রভু জগন্নাথ।
জগন্নাথদেব দর্শনের জন্যে ভোর ৫টা থেকে মন্দিরের মূল দরজায় ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা। জানা গিয়েছে, মন্দিরের মূল দরজা বা এক নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে ভক্তদের। এদিন নেত্র উৎসবের কারণে, ভোরে মঙ্গলারতি হয়। বিকেলে হবে রশি পুজো। সেখানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার হবে রথযাত্রা। এর সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জন্য বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী চলে এসেছেন দিঘায়।
প্রথা অনুযায়ী, স্নানযাত্রার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথ। তাই তিনি চলে যান ১৫ দিনের অনসরে। এদিন আবার সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। তাই সকাল থেকে প্রভু জগন্নাথের জন্য বিশেষ আয়োজন। তাঁকে নতুন সাজে সাজানো হয়। মন্দির কমিটি জানিয়েছে, এ দিন সকাল-সকাল প্রভুকে ঘুম থেকে তুলে দাঁত মাজানো হয়। নতুন পোষাক পরিয়ে, ফুলের মালায় সাজানো হয়। সকাল সাতটায় পূজার্চনার পর দেওয়া হয় প্রাতঃরাশ। তারপর চলছে পূজার্চনা। চলে নাম সংকীর্তনও।
১৫ দিন পর প্রভু মধ্যাহ্নভোজ করবেন। তাই জমকালোভাবে করা হবে ৫৬ ভোগের আয়োজন। ইতিমধ্যেই দিঘায় এসেছেন ৫০ জন বিদেশি ভক্ত। তাঁরা নিজের হাতে প্রভুর পছন্দমতো বেশ কয়েকটি পদ বানাবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ইসকন থেকে আগত সাধুসন্তরাও প্রভুর পছন্দের খাবার বানাবেন। জানা গিয়েছে, এদিনের ৫৬ ভোগে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ভাজা, খিচুড়ি, ডাল, সুক্তো, মোচা দিয়ে তরকারি, পটলের তরকারি, বৈতালের ঘন্ট-সহ একাধিক পদ। সেই সঙ্গে থাকবে বাংলার বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এবং পায়েসও।