খোয়াইয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী দেদার বিক্রি, আগাম খবর পেয়ে রেহাই ব্যবসায়ীদের—প্রশাসনের লোকদেখানো অভিযানে চাঞ্চল্য

Expired food items sold rampantly in Khowai, traders escape after getting prior tip-off — cosmetic raid by administration sparks uproar.
Expired food items sold rampantly in Khowai, traders escape after getting prior tip-off — cosmetic raid by administration sparks uproar.

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপাল সিং, ত্রিপুরা

তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত? জেলা সদর খোয়াই, আর শহরের কেন্দ্রস্থল সুভাষপার্ক বাজারে ছোটো-বড়ো দোকান, হোমশপ ও মুদির দোকানে দীর্ঘদিন ধরেই মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী দেদার বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ। ক্রেতাদের ক্ষোভ তীব্র হলেও প্রশাসন এতদিন যেন শীতঘুমে ছিল। আর অবশেষে যখন প্রশাসন নড়েচড়ে বসলো, তখনও প্রশ্ন—আগাম খবর পৌঁছে গেল কীভাবে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর কাছে?

স্থানীয়দের দাবি, কালোবাজারি থেকে শুরু করে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে লাগাম টানতে প্রশাসন ব্যর্থ। অপরদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার নিজেদের দায় এড়িয়ে গিয়ে বলছেন—“আমরা পাইকারি বাজার থেকেই পণ্য কিনি চড়া দামে, তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।”

আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে খোয়াই মহকুমা প্রশাসনখাদ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। একাধিক দোকানে তল্লাশি চালিয়ে অনিয়ম ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু জনগণের কটাক্ষ—“অভিযান যদি আগেই ফাঁস হয়ে যায়, তবে লাভটা কার?”

প্রশাসনের অভিযানে আজ প্রকাশ্যে এসেছে—সুভাষপার্ক কালীবাড়ি রোডের কল্যাণী আইসক্রিম ও কল্যাণী বেকারীতে পাঁচ মাসেরও বেশি পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ ফুড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে আইসক্রিম ও বেকারি সামগ্রী তৈরি হচ্ছিল।
খোয়াই মহকুমা প্রশাসক জানিয়েছেন, “মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্যসামগ্রী বিক্রির দায়ে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”